রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এখনই রাজ্যে উপনির্বাচন (By-election)চায় না বিজেপি। অন্তত আটদফা কারণ দেখিয়ে এই মর্মে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠাল রাজ্য বিজেপি। তাঁদের পালটা দাবি, যে ৮ কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে, সেসব জায়গার করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। তাই এখনই উপনির্বাচন হওয়া এখনই সম্ভব নয়। আর তৃণমূলের দাবি ঠিক উলটো। দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে তৃণমূল নেতৃত্ব আবারও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই এখনই ভোট করানো হোক।
এদিন বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে ইদানিংকালে। জেলাগুলি থেকে এমনই গোপন রিপোর্ট জমা পড়ল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। যা গেরুয়া শিবিরের চূড়ান্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠল। কোন জেলায় কতজন বিজেপি কর্মী ইতিমধ্যে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন, সেই তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ।
বুধবার হেস্টিংসে দলের সাংগঠনিক বৈঠক বসেছিল। সেখানে এই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া দলীয় সদস্যদের বিস্তারিত তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর, তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছে। বারাকপুর, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলায় এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বুধবার বিজেপি হেস্টিংস অফিসে সংগঠনিক বৈঠকে প্রথমার্ধে ছিল বারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট ও বারাসত সাংগঠনিক জেলা। বিকেল থেকে হাওড়া ও হুগলি-সহ একাধিক সাংগঠনিক জেলার বৈঠক চলছে।
এ রাজ্যের একুশের ভোটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায়নি গেরুয়া শিবির। তাই তারপর থেকে দলের অনেক সদস্যই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। সূত্রের খবর, বিজেপির মূল লক্ষ্য, এই বসে যাওয়া কর্মীদের ফের বুথমুখী করা। এই বিষয়ে জেলা সভাপতিদের ভাবনাচিন্তা করে, নিজস্ব পরিকল্পনা ছকে তা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিবপ্রকাশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে (Santanu Thakur) বনগাঁর জেলা সভাপতির সঙ্গে সমন্বয় বাড়িয়ে কাজে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে উনিশের লোকসভা ভোটে জয়ী হওয়া অর্জুন সিংকে (Arjun Sing) বারাকপুরের সংগঠনের কাজে বিশেষ দায়িত্বের কথা জানানো হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.