রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভার দিন ইতিমধ্যেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প দিন হিসাবে ব্রিগেড বুক করা রয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারিও ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে এখনও সবুজ সংকেত আসেনি। ওইদিনের ব্রিগেড যে এখনও পর্যন্ত অনিশ্চিত, তা স্পষ্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য থেকেই।
[স্কুলে শিক্ষকের পরিবর্তে ‘ইন্টার্ন’ নিয়োগ, ঘাটতি কমাতে নয়া ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর ]
সোমবার দিলীপবাবু জানান, “আপাতত ব্রিগেড করা হচ্ছে না। রথযাত্রা কর্মসূচির উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। যাত্রা কর্মসূচি চলাকালীনই বড় নেতাদের আনার চেষ্টা করা হবে। তবে ব্রিগেড বাতিল হচ্ছে না। সময় কম থাকায় রথযাত্রা চলাকালীন ব্রিগেড হয়তো সম্ভব হবে না। পরে নির্বাচনী প্রস্তুতিসভা ব্রিগেডে করা হবে।” তবে এই মুহূর্তে ব্রিগেড না হলেও রথযাত্রা যদি হয় তাহলে তখনই রাজ্যে এসে তিন থেকে চারটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য বিজেপির তরফে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে রথযাত্রা মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর।
[২৪ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি, ঐতিহাসিক রায় কলকাতা হাই কোর্টের]
এদিন শীর্ষ আদালতে রথ মামলার শুনানি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় দলের পক্ষে যাবে বলেই আশা বিজেপি নেতৃত্বের। রায় পক্ষে গেলে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের পরই রথযাত্রা শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে গেরুয়া শিবির। এদিকে, শিলচরে কবি শ্রীজাতকে ঘিরে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভের ঘটনা বিজেপি যে সমর্থন করে না তা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কোনও মত প্রকাশের অধিকারকে বন্ধ করাটা আমরা সমর্থন করি না। শ্রীজাতর সঙ্গে যা ঘটেছে তা ঠিক নয়। মানবাধিকার ও মত প্রকাশের অধিকার সমান থাকা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.