স্টাফ রিপোর্টার: ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেপ রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথালমোলজি (আরআইও)তে চুরিই হচ্ছে রোগীর খাবার। রবিবার এমন অভিযোগ সামনে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৈরি হয়েছে তদন্ত কমিটি। পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার, আরআইও ডিরেক্টর, হাসপাতালের নার্সিং সুপার, সিস্টার ইনচার্জ এবং ওয়ার্ড মাস্টার।
এদিকে, সোমবার রোগীর পরিবারের তোলা সেই খাবার চুরির ভিডিও খতিয়ে দেখেন আরআইও ডিরেক্টর অসীম ঘোষ। ওই যুবকের পরিচয় জানতে তিনি ডেকে পাঠান কর্তব্যরত নার্সদের। ছবি দেখে অভিযুক্তকে চিনতে পারেন নার্সরা। ওই ব্যক্তি ওয়ার্ডে খাবার দেওয়ার কাজ করে। তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা হয় অভিযুক্তকে। যে বেসরকারি সংস্থা হাসপাতালে খাবার তৈরি এবং ওয়ার্ডে তা বণ্টনের দায়িত্বে রয়েছে, ডেকে পাঠানো হয়েছে তার কর্তাকেও। আরআইও ডিরেক্টর অসীম ঘোষ জানিয়েছেন, ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক যুবক রোগীর জন্য তৈরি খাবার বাইরে বিক্রি করছে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। যুবককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন একটি নজরদারি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। এবার থেকে সেই কমিটির সদস্যরা যে কোনও সময় অতর্কিতে ওয়ার্ডে হানা দেবে। হেঁশেল থেকেও কোনওভাবে খাবার চুরি হচ্ছে কি না, তার দিকে শ্যেন দৃষ্টি রাখবে এই নজরদারি কমিটি।
রবিবার রোগীর আত্মীয়দের কয়েকজন একেবারে ভিডিও হাতে নিয়ে খাবার চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। অভিযোগ, ওঠে যাঁরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেন, তাঁরাই রোগীদের খাবার চুরি করে রোগীর পরিবারের লোকজনকে বিক্রি করছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০ টাকার বিনিময়ে খাবার বিক্রি করছেন এঁরা। কোনও এক রোগীর আত্মীয় গোটা বিষয়টির ভিডিও করেন মোবাইলে। রোগীর পরিবারের অনেকেরই অভিযোগ, শুধুমাত্র রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি নয়, বিভিন্ন ওয়ার্ডেই একইভাবে চলছে খাবার বিক্রি চক্র। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটির কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, “খাবার চুরি করে বিক্রি করার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.