Advertisement
Advertisement

Breaking News

St. Xavier's Professor Sacked

বিকিনি পরে লাস্যময়ী ‘ম্যাডাম’, ছবি দেখে মুগ্ধ ছেলে! বাবার অভিযোগে চাকরি হারালেন অধ্যাপিকা

ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, জানিয়েছেন অধ্যাপিকা।

St. Xavier's professor sacked over her bikini posts on Instagram | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 9, 2022 2:01 pm
  • Updated:August 9, 2022 3:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিকিনি পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন এক অধ্যাপিকা (Professor)। তার জেরেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে তাঁকে বাধ্য করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, কলকাতার এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (St Xavier’s University) স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার বাবা অভিযোগের ভিত্তিতেই ইংরাজি বিভাগের ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অধ্যাপিকা জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিকিনি পরা ছবি আপলোড করেছিলেন তিনি। সেই ছবি দেখেছিল এক পড়ুয়া। সেই পড়ুয়ার নাম জানা যায়নি। তবে তার বাবার নাম বিকে মুখার্জি। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, “এক অধ্যাপিকা অন্তর্বাস পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি দিয়েছেন। সেই ছবি দেখছিল আমার ছেলে। অভিভাবক হিসাবে একজন অধ্যাপিকার এহেন ছবি দেখা আমার পক্ষে ভীষণ লজ্জাজনক।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাজিরা এড়িয়ে আরও চাপে অনুব্রত, জেরার ব্লুপ্রিন্ট ছকতে দিল্লি থেকে কলকাতায় CBI কর্তা]

তারপরেই ওই অধ্যাপিকাকে তলব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট অভিযোগপত্রের সঙ্গে তাঁর ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। উত্তরে ওই অধ্যাপিকা জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করা রয়েছে ফলে যে কেউ ইচ্ছা করলেই তাঁর ছবি দেখতে পারেন না। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিকিনি পরা ছবিগুলি তিনি স্টোরিতে দিয়েছিলেন, যা ২৪ ঘণ্টা পরে নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। ফলে প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া কী করে ছবিগুলি দেখতে পেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

কিন্তু অধ্যাপিকার কোনও কথাই শুনতে রাজি হননি সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে আঘাত করেছেন তিনি। ইস্তফা দিতে তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। এমনকী, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরিত্র হনন এবং হেনস্তার অভিযোগ করেছেন করেছেন ওই অধ্যাপিকা। কিন্তু তাঁর দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা।

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দিতে রাজি হননি। ওই অধ্যাপক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে মন্তব্য করলে তাঁর চাকরিক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।তবে ওই অধ্যাপিকা যা অভিযোগ এনেছেন, সবটাই সত্যি।

[আরও পড়ুন: যাত্রী প্রত্যাখ্যান-বাড়তি ভাড়া, জোড়া অভিযোগে হলুদ ট্যাক্সির রোগ বাইক-ট্যাক্সিতেও!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement