ফাইল ছবি
অভিরূপ দাস: জন্মের পর কমে গেল ওজন। তবে তাতে ভালোই হয়েছে। কেটে গিয়েছে প্রাণহানির আশঙ্কা। সন্তানসম্ভবা অনিমা হালদার ভরতি হয়েছিলেন এসএসকেএমে। সন্তান জন্মানোর পর দেখা যায় শিশুটির ওজন ২২৫০ গ্রাম। যদিও সেটা সত্যি নয়। কারণ এর মধ্যে মিশে রয়েছে পেল্লায় এক টিউমারের ওজনও। যা বাসা বেঁধেছিল শিশুর শরীরে ল্যাজের অংশে। পেল্লায় টিউমারের কারণে চিৎ হয়ে শুতে পারছিলো না শিশুটা। হৃদস্পন্দন ছিল অনিয়মিত।
দ্রুত শিশু শল্য বিভাগে আনা হয় শিশুটিকে। এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের শিশু শল্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. দীপঙ্কর রায় জানিয়েছেন, যে ধরণের টিউমার দেখা গিয়েছিল শিশুর শরীরে, চিকিৎসা পরিভাষায় তাকে বলা হয় স্যাক্রোকক্সিজিয়াল টেরাটোমা (Sacrococcygeal teratoma)। পশ্চাদদেশের টেইলবোন বা ককসিক্স বোন থেকে শুরু হয়েছিল টিউমারটি। টিউমারের কিছুটা অংশ পেটের ভিতরেও ঢুকে গিয়েছিল। অত্যন্ত বিরল এই টিউমার ৪০ হাজারে মাত্র একজন শিশুর মধ্যে দেখা যায়।
টিউমারটি আকারে অত্যন্ত বড় হওয়ায় যে কোনও মুহূর্তে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারতো শিশুটি। ডা. দীপঙ্কর রায়ের ততত্ত্বাবধানে দেড় ঘন্টার জটিল অস্ত্রোপচারের পর বাদ দেওয়া হয়েছে টিউমার। সদ্যোজাতর ত্বক অত্যন্ত পাতলা। টিউমারটি আকারে এতটাই বড় ছিল যে অতিরিক্ত চাপে বা ‘প্রেশার নেক্রোসিসের’ কারণে ত্বকের একটা অংশ পচে গিয়েছিল। টিউমারটি বাদ দেওয়ার পর ত্বকের সেই অংশটি রিকনস্ট্রাকশন বা পুর্নগঠন করা হয়।
অস্ত্রোপচার করার পর শিশুটির ওজন দাঁড়ায় দেড় কিলোগ্রামের মতো। আপাতত সুস্থ রয়েছে শিশুটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.