ছবি: প্রতীকী
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: খেলতে খেলতে হঠাৎ দারচিনির টুকরো গিলে ফেলে একরত্তি। প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছিল দেড় বছরের শিশুটির। শেষপর্যন্ত দু’টি হাসপাতাল ঘুরে খুদের প্রাণ বাঁচাল কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital)।
সাত-আট দিন লালবাগের খেলতে খেলতে দারচিনি গিলে ফেলেছিল শুভঙ্কর বাইতি। রাতটা কোনওরকমে কাটলেও সকালে শ্বাস নিতে গিয়ে গলা দিয়ে বিভিন্নরকম শব্দ বের হতে থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ছেলের এমন অবস্থা দেখে বাবা রতন বাইতি বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।
প্রায় সাতদিন এমন অবস্থায় থাকার পর কোনও উন্নতি না হওয়ায় একরকম জোর করে ছেলেকে বুকে নিয়ে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন রতনবাবু। দেড় বছরের শিশুটিকে পেডিয়াট্রিক বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু ইএনটি বিভাগে পাঠানো হয়নি। আদতে এনআরএস হাসপাতালে ব্রঙ্কোস্কপি করে বাইরের জিনিস বের করার মতো ব্যবস্থা নেই।
শুভঙ্করের বাবা রতন বাইতির কথায়, “আধঘণ্টা এনআরএসে থেকে চলে আসি এসএসকেএম হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ইএনটি বিভাগে।” হাসপাতালের ইএনটির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা অরুণাভ সেনগুপ্তর কথায়, “রাত এগারোটা নাগাদ ব্রঙ্কোস্কোপি করা হয়। বের করা হয় দারচিনির টুকরো। যেটা কাঠের টুকরো।” রতন বাইতির কথায়, “প্রথমেই কলকাতায় আসলে ছেলেটা এত কষ্ট পেত না। ছেলে অনেক ভাল আছে। ডাক্তারবাবুরা ছেলের গলায় নল ঢুকিয়ে টুকরো বের করে আনেন। আজ বা কাল ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাব।”
এদিকে এনআরএস হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইএনটি বিভাগ নিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক অভিযোগ আসায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যদপ্তর। অর্থ বরাদ্দ স্বত্বেও কেন ব্রঙ্কোস্কপি যন্ত্র কিনতে দেরি হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.