সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক শূন্যপদ। ওই শূন্যপদগুলিতে অবিলম্বে নিয়োগও করতে চায় নবান্ন। তবে বারবার মামলার গেরোয় আটকে যায় নিয়োগ। তা নিয়ে বহুবার উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন এসএসসি মামলা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। চাকরিহারাদের হাহাকারের জন্য বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগেও অবশ্য একাধিকবার চাকরিতে নিয়োগ জটিলতার জন্য বিকাশরঞ্জনবাবুকে দুষেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও ব্যতিক্রম হল না। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিকাশবাবু কেস করেছিলেন। তাঁর জন্যই আজ এতগুলো চাকরি গেল। উনি তো বিশ্বের বৃহত্তম আইনজীবী। কেন যে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না এখনও… আমি ভাবছি, একটা রেকমেন্ড করব।”
২০১৬ সালের এসএসসি প্য়ানেল বাতিলে চাকরিহারাদের মধ্যে হাহাকার রব। কীভাবে সংসার সামলাবেন, তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না তাঁরা। কেউ আবার বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মৃত্যুদণ্ডের শামিল। এই পরিস্থিতিতে অবশ্য এসএসসির প্যানেল বাতিলের দায় ঝাড়তে ব্যস্ত বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর যুক্তি, “আমার কাজ আইনি সওয়াল করা। সংবিধানকে তুলে ধরা। সেই কাজটা করেছে। সে কারণেই আমি উকিল। কে জিতবে, কে হারবে তা আমি জানি না। আমি সওয়াল করেছি। আদালত গ্রহণ করেছে। আমাকে দায়ী করতেই পারে। তারা লক্ষ্যভ্রষ্ট। সমস্ত দায় রাজ্য সরকারের নেওয়া উচিত ছিল। তা না করে ওরা বোকার মতো ভাবছে আমি ওদের শত্রু।” মুখ্যমন্ত্রীর এসব মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.