গোবিন্দ রায়: সুপারিশের মাধ্যমে নবম-দশমে ভুয়ো চাকরি পেয়েছেন কারা? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। কিন্তু বিকেলে নিজের সেই রায় সংশোধন করেন তিনি। জানিয়ে দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই।
২০১৬ সালে নবম-দশমে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষক। অভিযোগ, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। সুপারিশের ভিত্তিতে যোগ্যদের সরিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। সেই অভিযোগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় এসএসসি (SSC) আদালতকে জানিয়েছে, তারা এমন ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে, যাদের নাম মেধাতালিকার নীচে থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, এই ১৮৩ জনের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন তাদের তালিকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে হবে SSC-কে।
সেই সঙ্গে আদালত কমিশনের কাছে জানতে চায়, এই যে ১৮৩ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? তাদের চাকরি বাতিলের জন্য কী করেছে কমিশন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেভাবে বারবার রাজ্য হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁর মন্তব্য, “নিয়োগ দুর্নীতিকে থামানোর পরিবর্তে রাজ্য বারবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে। এটা বিস্ময়কর। রাজ্যের উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতকে সাহায্য করা।”
কিন্তু এর পর অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানির সময় সিবিআই জানায়, এই ভুয়ো চাকরি প্রাপকের সংখ্যাটা আরও বেশি। ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। যা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের আগের রায় সংশোধন করেন। এবং জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার মামলাগুলির বিস্তারিত শুনানি হবে, সেই শুনানির পরেই তিনি পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.