Advertisement
Advertisement

Breaking News

SSC Scam

SSC দুর্নীতি: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ‘রেট’ ২০ লক্ষ, কাদের কাছে পৌঁছত বিপুল টাকা?

বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য বিভিন্ন ‘রেটচার্ট’ নিয়ে তদন্ত ইডির।

SSC Scam: 20 lacs to recruit teachers in class IX and X, ED gets the information of various 'rate chart' | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 6, 2023 9:42 am
  • Updated:February 6, 2023 9:47 am  

অর্ণব আইচ: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) জন‌্য ২০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে। আবার একাদশ-দ্বাদশ অথবা শিক্ষা দপ্তরের গ্রুপ সি বা ডি’র চাকরিপ্রার্থীদের জন‌্য ছিল ভিন্ন ‘রেট’। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল‌্যকর তথ‌্য। নিয়োগ দুর্নীতির জন‌্য চক্রের মাথাদের তৈরি এহেন ‘রেট চার্ট’ জেনে হতবাক ইডির আধিকারিকরাও। এদিকে, ইডির হাতে ধৃত হুগলির (Hooghly) যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দু’টি অ‌্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া সাড়ে ৬ কোটি টাকা কতজনকে দেওয়া হয়েছে, তার তালিকাও হাতে এসেছে ইডির। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও রয়েছে।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, টেট দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের। কিন্তু তার সঙ্গে প্রায় ৫০ কোটি টাকার যে লেনদেনের হিসাব মিলেছে, সেই বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে আপার প্রাইমারি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ ও স্কুলের গ্রুপ সি (Gr C) ও ডি-র (Gr D)চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। ইডির হাতে আসা হিসাব অনুযায়ী –

Advertisement
  • টেট (TET) পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা করে তোলা হয়েছিল।
  • এসএসসির (SSC)নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীদের জন‌্য বিভিন্ন জেলা থেকে তোলা হয়েছিল কুড়ি লক্ষ টাকা করে।
  • টাকা কখনও বা অনলাইন, আবার কখনও বা নগদে নিয়েছিলেন সাব এজেন্টরা।
  • বিপুল পরিমাণ টাকা এসে পৌঁছয় কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতি বা প্রসন্ন রায়ের মতো বড়মাপের এজেন্টদের কাছে।
  • আপার প্রাইমারির জন‌্য নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের মাথা ও এজেন্টরা দশ থেকে বারো বা কখনও সুযোগ বুঝে ১৫ লক্ষ টাকা করে নেয় বলে অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে পিতার জাতি পরিচয়েও মেয়েরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন, রায় আদালতের]

ইডি সূত্রের খবর, নবম-দশমের মতো একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রেও চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ২০ বা ২৫ লক্ষ টাকা করেও নেওয়া হয়। অবশ‌্য অনেক ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা এজেন্টদের একসঙ্গে অত টাকা দিতে পারেননি। সেই ক্ষেত্রে তাঁদের কয়েক দফায় টাকা দিতে বলা হয়। যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগকেই চাকরির ব‌্যবস্থা করা হয় বলে দাবি ইডির। একজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে অন‌্য চাকরিপ্রার্থীরাও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন। ফলে এজেন্টদের মাধ‌্যমে আসলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়, মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থর ধৃত সঙ্গীদের কাছে সেই বিপুল পরিমাণ টাকা পৌঁছে যায়। চাকরিপ্রার্থীদের ওই ‘রেট চার্ট’ জানিয়ে দেওয়া হত। ওই টাকা কতজন বিশিষ্ট ব‌্যক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত গিয়েছিল, তার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইডি।

[আরও পড়ুন: ফের BJP শিবিরে ধাক্কা, অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement