রমেন দাস: এসএসসি ভবনের সামনে চাকরিহারাদের ধরনায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ডিওয়াইএফআই নেত্রী তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কেন বামপন্থী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অযোগ্য এবং যোগ্য চাকরিহারাদের এক আসনে বসিয়ে সওয়াল করলেন? মীনাক্ষীর কাছে প্রশ্ন চাকরিহারাদের। উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও। স্লোগানের মুখে বাধ্য হয়েই চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা না করে ফিরতে হয় মীনাক্ষীকে।
তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতির রং লাগতে দিতে চান না চাকরিহারারা। শুরু থেকেই আন্দোলনে রাজনৈতিক সংস্রব বর্জন করে আসছেন তাঁরা। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতেও ভরসা রাখছেন চাকরিহারাদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরার লক্ষ্যেই মঙ্গলবার রাতে এসএসসি ভবনের সামনে যান সিপিএমের যুবনেত্রী। কিন্তু তাঁকে দেখামাত্রই স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। চাকরিহারাদের তরফে প্রশ্ন করা হয় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিয়ে।
চাকরিহারারা প্রশ্ন তোলেন, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অযোগ্য এবং যোগ্য চাকরিহারাদের এক আসনে বসিয়ে সওয়াল করলেন কেন? বস্তুত বিকাশের জন্যই যে এত মানুষকে চাকরি হারিয়ে পথে বসতে হয়েছে, সেটাও বুঝিয়ে দেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। এরই মধ্যে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। মীনাক্ষীর সঙ্গীদের সঙ্গে চাকরিহারাদের রীতিমতো বাক বিতণ্ডা হয়। বাধ্য হয়ে ফিরে যান ডিওয়াইএফআই নেত্রী। তাঁর আগে অবশ্য যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। মীনাক্ষী জানান, “আন্দোলনকারীদের দাবি যোগ্য। তাঁরা আজ রাস্তায় বসে থাকতে বাধ্য। আসলে গোটা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করার চেষ্টা চলেছে। ২২ লক্ষ ওএমআর শিটই প্রকাশ করতে হবে।”
বিকাশরঞ্জনকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মীনাক্ষী সেই প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে যান। তিনি পালটা এসএসসি এবং রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন। দাবি করেন, রাজ্যের দুর্নীতির জন্যই শিক্ষকরা পথে। যদিও শিক্ষকরা শেষ পর্যন্ত বাম নেত্রীর কোনও কথাই শোনেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.