Advertisement
Advertisement

Breaking News

Golper Sera Haat

‘ডিজিটালেও বাংলা ভাষার গুরুত্ব বাড়ছে’, ‘গল্পের সেরা হাত’-এর মঞ্চে বললেন সৃঞ্জয় বোস

কম বয়সিদের লেখাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সংবাদ প্রতিদিন, 'গল্পের সেরা হাত'-এর মঞ্চে বললেন কুণাল ঘোষ।

Srinjay Bose Says in Golper Sera Haat award event importance of Bengali language in digital media

'গল্পের সেরা হাতে'র মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন সৃঞ্জয় বোস। নিজস্ব চিত্র

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 3, 2025 11:18 pm
  • Updated:April 4, 2025 8:42 am  

কিশোর ঘোষ: JIS গ্রুপ নিবেদিত সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ‘গল্পের সেরা হাত’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান যেন চাঁদের হাট! উদ্দেশ্য ছিল সারস্বত অনুসন্ধান। রিল-এ রেসের এই পৃথিবীতে বাঙালি কি আজও গল্পপ্রবণ? ছোটদের কল্পনা আজও কি ছোঁয় চাঁদের পাহাড়! বড়দের ভাবনা স্পর্শ করে বেহুলার ভেলা! দেখা গেল শত বাধা ডিঙিয়ে বাঙালি আজও গল্পতরুই বটে! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর কালচারাল রিলেশনের (আইসিসিআর) সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে ‘গল্পের সেরা হাত’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি সমসময়ের অক্ষরশিল্পের সেরা উদযাপন হয়ে রইল।

এই আয়োজনের সহ-নিবেদনে ছিল ‘ইনফিনিটি’ ও ‘শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স’, সহযোগিতায় ছিল ‘দে’জ পাবলিশিং’, ‘সাহিত্য সংসদ’, ‘তন্তুজ’, ‘গিটস’, ‘স্পাইসেস অ্যান্ড সসেজ’ ও ‘অরুণ সাইন’। এদিন মঞ্চ আলো করলেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী, অমর মিত্র, বিনোদ ঘোষাল ও মৌমিতা। দেজ পাবিলিশার্সের দুই কর্ণধার সুধাংশুশেখর দে এবং শুভঙ্কর দে। শিশুসাহিত্য সংসদের কর্ণধার দেবজ্যোতি দত্ত। সঙ্গীতশিল্পী, পরিচালক ও সংবাদ প্রতিদিনের রোববারের সম্পাদক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক ও সংবাদ প্রতিদিনের কনসালটেন্ট এডিটর কুণাল ঘোষ এবং সংবাদ প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক সৃঞ্জয় বোস।

Advertisement
গল্পের সেরা হাতের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন কুণাল ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

নিজের বক্তব্যে সংবাদ প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক সৃঞ্জয় বোস বলেন, “গল্পের সেরা হাত দুটো কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, যখন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল শুরু করেছিলাম, তখন ডিজিটাল মাধ্যমকে লোকে তত গুরুত্ব দিত না। লোকে বলত ডিজিটালের বাংলা কেউ পড়ে না। গভীরতা নেই। এক সময় দেখা গেল ডিজিটালের গুরুত্ব বাড়ছে। এরপর আমরা যখন রোববার ডট ইন শুরু করি। তখন আমাদের চোখ খুলে যায়! দেখি যে কত লোক রোববার ডট ইন পড়ছে এবং প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। আজকে সুধাংশুদার (দে) রোববার ডট ইনের ধারাবাহিক কলম কত লোক পড়ছে! অসংখ্য প্রতিক্রিয়া আসছে।” স্মৃতিমেদুর সৃঞ্জয় আরও বলেন, “গল্পের সেরা হাতের অন্য গুরুত্বটি একান্তই ব্যক্তিগত। বাবা (টুটু বোস) কাগজটা শুরু করেছিলেন। একসময় বাবার ইভেন্ট আমি কাজ করতাম। আজ সকালে বাবা জিজ্ঞাসা করছিলেন, আজকে সারাদিনে আমার কাজ কী? বাবাকে জানালাম যে আজ তাঁর নাতি তাতাইয়ের (অরিঞ্জয় বোস) জীবনের প্রথম ইভেন্ট।”

‘গল্পের সেরা হাতে’র মঞ্চে চাঁদের হাট। নিজস্ব চিত্র

‘গল্পের সেরা হাত’-এর মঞ্চে সংবাদ প্রতিদিনের কনসালটেন্ট কুণাল ঘোষ বললেন, “আসলে ঘুম পাড়াতে গেলেও গল্প! ঠাকুরমার ঝুলি দিয়ে গল্পের শুরু। গল্পের জগতেই তো আমরা থাকি। যুগে যুগে বিশিষ্ট গল্পকারদের লেখা আমরা পড়ে এসেছি। আজও গোগ্রাসে গিলছি। এটা গল্পকে নিয়ে সংবাদ প্রতিদিনের উদ্যোগ। কম বয়সিদের লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে আনা। তাঁদের লেখার স্বীকৃতির আয়োজন। আজকের গল্প ভবিষ্য়তের পাঠক পড়বেন এই সময়টাকে জানতে। প্রতিদিন ডট ইন যে উদ্যোগ নিয়েছে আজ তার আনুষ্ঠানিকতা। যাঁরা পুরস্কার পেলেন তাঁদের অভিনন্দন জানাই। তরুণদের বলব, পড়াশোনা করো, চাকরি করো, যাই করো অনুগ্রহ করে লেখাটা ছেড়ো না। বড়দের বলব, সারাদিনে মধ্যে কিছুটা সময় ছোটদের লেখার  জন্য সুযোগ করে দিন।”

‘গল্পের সেরা হাতে’র মঞ্চে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

সঙ্গীতশিল্পী, পরিচালক, রোববারের সম্পাদক আনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ভাষার বেঁচে থাকা কিছুটা প্রবাদের মধ্যে, কিছুটা গল্পের মধ্যে। গল্পের মধ্যে আমরা বাস করি। আমাদের ছেলেবেলা, বন্ধুদের কথা যে বলি তার মধ্যেও গল্প থাকে। কেবল কীভাবে গল্প লিখতে হয় তা আমরা জানি না। সেটাকে উসকে দেওয়া—কীভাবে গল্প লিখতে হয়, কেন গল্প লিখতে হয়, কেন ভাষার সঙ্গে বেঁচে থাকতে হয়… সেটারই একটা বড় প্ল্যাটফর্ম গল্পের সেরা হাত। এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য সংবাদ প্রতিদিনকে, সংবাদ প্রতিদিন ডট ইনকে অনেক ধন্য়বাদ। আমার তরফ থেকে অরিঞ্জয়কে (বোস) বড় একটা ভালোবাসা এত সুন্দর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। গল্প তো গাছের মতো, যত গল্প জমা হবে, তত ভাষার অক্সিজেন বাড়বে। এই গল্পের কতকথা বেঁচে থাকুক, বাংলা ভাষা বেঁচে থাকুক।”

‘গল্পের সেরা হাত’ প্রতিযোগিতায় সবশুদ্ধ গল্প জমা পড়েছিল ৩৮৮টি! বড়দের বিভাগে সেরার সেরা গল্পকারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন পার্থ সেন, দ্বিতীয় রামকৃষ্ণ প্রধান, যুগ্ম তৃতীয় মৌসুমী রায়, রাজীব রায় গোস্বামী। ছোটদের সেরার সেরাদের মধ্যে প্রথম ঋদ্ধিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিতীয় সৌরাশিস ভট্টাচার্য, তৃতীয় সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়। যদিও ঋদ্ধিমা চোখের চিকিৎসার কারণে এদিন উপস্থিত থাকতে পারেনি। প্রথম তিন স্থানাধিকারীরা ছাড়াও বড়দের সেরা বারোর অন্যতম শুভ্রা রায়, সহেলী রায়, সুমন সরকার, মাল্যবান মিত্র, অভিষেক ঘোষ, দেবাশিস দে, শুভজিৎ রায়, সোমা হালদার এবং ছোটদের সেরা ৫ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে সুতীর্থ ভট্টাচার্য, প্রিয়া মুখোপাধ্যায়, সৌজন্য সরদার, মণীষা দে, আরুষি মিত্রকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub