ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কংগ্রেসের আমন্ত্রণ রাখলেন শ্রীলেখা মিত্র ও বাদশা মৈত্র। ‘ভারত জোড়ো’র সমর্থনে পদযাত্রায় অধীর চৌধুরীর পাশে হাঁটলেন তাঁরা। সাবর্ণ রায়চৌধুরীর পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন দেবর্ষি রায়চৌধুরী। এছাড়াও ছিলেন, প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রবোধ সিনহা এবং প্রখ্যাত চিকিৎসক কুণাল সরকার। তবে বামেদের কাউকে এদিনের মিছিলে দেখা যায়নি।
এদিন উত্তর কলকাতায় ‘ভারত জোড়ো’র এ রাজ্যের ‘সাগর থেকে পাহাড়’ পর্বের পদযাত্রার মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) বলেন, “আমি কংগ্রেসের পার্টি মেম্বার নই, সিপিএমের পার্টি মেম্বার নই। আমি কালকে কংগ্রেসে জয়েন করছি না। এরকম কিছু ভাববেন না। এই উদ্দেশ্যটা মহৎ, এই উদ্দেশ্যটার সাথে আমি একমত এবং রাজ্যে ও দেশে যে জিনিস হচ্ছে, যে অনাচার ও অবিচার করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের প্রতি। সেখানে আমার একটাই কথা এই যে কোনও মিছিল বা কোনও সৎ উদ্দেশ্যে মানুষকে একত্রিত হতে দেখি তখন মনে একটা আশা জাগে। আবার যখন এই দুয়ারে সরকার, দুয়ারে অমুক এ সবগুলো দেখি। তখন একটু আশাহত হয়ে পড়ি। ৫০০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজেদের সবকিছু বিকিয়ে দেবেন না। আরও অনেকটা পথ আমাদের সংগ্রাম থাকবে। সংগ্রামে আমরা ভয় পাই না। সুতরাং রাজ্যবাসীর কাছে যেন এই বার্তা যায়।”
নিজেরে ‘সুনাগরিক’ আখ্যা দিয়েই আবার শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “এখনও পর্যন্ত বিকিয়ে যায়নি এবং যাবও না। মানুষকে একত্রিত করার এই উদ্দেশ্য, ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই। কংগ্রেসের আয়োজিত এই বিষয়টির সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত।” মিছিলে দেখা গেলেও মঞ্চে দেখা যায়নি বাদশা মৈত্রকে। ছিলেন চিকিৎসক কুণাল সরকার।
তবে এর কংগ্রেসের পদযাত্রা নিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাদশা মৈত্র বলেছিলেন, যে উদ্দেশ্যে এই পদযাত্রা তার সঙ্গে তিনি সহমত। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীর চৌধুরী মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আত্মানুসন্ধান করার পরামর্শ দেন। তারপরই দাবি করেন, “১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্প কংগ্রেস এনেছে। সবার জন্য ঘর কে দিয়েছিল? আমরা। এতদিন কেউ জানত যে আবাস এর টাকা কেন্দ্র দিত? না জানত না। এখন জানে যখন দুর্নীতির জন্য কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.