বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ফের অধীর চৌধুরি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর পুত্র রোহন মিত্র। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও জেলার কর্মী সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। রোহনের ধারাবাহিক ক্ষোভ দলবদলের সম্ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে বলে মনে করছে বিধানভবন।
দক্ষিণ কলকাতার লোকসভার ভোটার, ballygaunge অ্যাসেম্বলির ভোটার, ওয়ার্ড ৬৯ এর ভোটার, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তবুও নিজের জেলার কর্মী সম্মেলনে ডাক নেই! Instruction দিচ্ছে কে ??? #Bengal @INCWestBengal @adhirrcinc
— Rohan S Mitra (@rohansmitra) November 13, 2020
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা তিনি। ভোটারও। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ছিল দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন। উদ্যোক্তা ছিলেন জেলার সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ। কিন্তু, সেই সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন রোহন মিত্র (Rohan Mitra)। তাঁর অনুপস্থিতির জেরে জল্পনা শুরু হয়েছিল সম্মেলনস্থলেই। সোমেন ঘনিষ্ঠরা রোহনের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন শুক্রবার তা স্পষ্ট করেন রোহন। মনের ক্ষোভ উগরে টুইট করেন, ওই অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। কাদের নির্দেশে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সোমেনপুত্র। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য যে প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা তা নিশ্চিত বিধানভবনের নেতৃত্ব।
এর আগেও প্রদেশ নেতৃত্বের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ রোহন বেশ কয়েকবার টুইট করেন। বাদুরিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিন তো রীতিমতো প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশকে বিজেপির দালাল বলে দেগে দেন তিনি। আবার বৃহস্পতিবার বিধায়ক বেচারাম মান্নার পদত্যাগের খবর রটতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ জানান। লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমেন মিত্ররা এরকম অনেককেই হাত ধরে রাজনীতির জগতে পরিচয় করিয়েছেন। পরপর দু’দিন বেসুরো রোহনকে নিয়ে চিন্তিত বিধানভবন। তিনি দলবদল করতে পারেন বলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও দলবদল ইস্যুতে সোমেনপুত্র তাঁর অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.