সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল আগেই বলেছিল, কংগ্রেসের দাদাগিরি মানবে না তারা। এবার কার্যত একই সুর শোনা গেল সমাজবাদি পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) গলাতেও। তাঁর সাফ কথা, কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে। বিজেপিও একই পথের পথিক। বিরোধী জোটের ফর্মুলা আমি বলব না। তবে বিজেপিকে হারানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।
দিন দুয়েক আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অখিলেশ। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের কার্যালয়ে গিয়ে অখিলেশ তাঁর সঙ্গে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন। ভোটের আগে জোটের প্রয়াস শুরু করেছে দুই দল। যা দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করেছে যে লোকসভা ভোটের আগে জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এরপরই সপার জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন অখিলেশ। সেখান থেকে তাঁর বার্তা, “কংগ্রেস জাতীয় দল। আমরা আঞ্চলিক দল। বিরোধী জোটের ফর্মুলা এখনই প্রকাশ্যে আনব না। তবে বিজেপিরকে হারাতে জোট হবেই। যারা বিজেপি বিরোধী তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি।” অখিলেশের অভিযোগ, বিজেপিও কংগ্রেসের মতো ইডি, সিবিআইয়ের অপব্য়বহার করছে। এভাবে কংগ্রেস শেষ হয়েছে, বিজেপিও সেই পথে হাঁটছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আগামী লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দুই শক্তিশালী ঘাঁটিতেও প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অখিলেশ। ১৯৯৬ সাল থেকে আমেঠিতে প্রার্থী দেয় না সপা। সেই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন রাহুল গান্ধী। আবার সোনিয়া গান্ধী লড়াই করেন রায়বেরিলি আসন থেকে। সেখানেও সাধারণত প্রার্থী দেয় না সপা। এবার সেই ট্রেন্ড ভেঙে দুই লোকসভা কেন্দ্রেই সমাজবাদি পার্টি প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব। যা নিসন্দেহে জোট রাজনীতিক ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ।
বিকল্প জোট সম্পর্কে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল,সমাজবাদী পার্টি, অকংগ্রেসি দল চেষ্টা করছে। লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের মুখ সামনে থাকলে বিজেপির সুবিধে। কংগ্রেস অবিজেপি ও অকংগ্রেসি দলকে কাজ করতে সমস্যা করছে। তৃণমূল মাথা উঁচু করে বিজেপি বিরোধিতা করবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.