ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ জনগণের হয়ে কাজ করার জন্য সুনাম আছে তাঁর। ভোটের বাদ্যি বাজতেই সেই জনসংযোগে আরও মন দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই সবদল নেমে পড়েছে দেওয়াল লিখনে। দক্ষিণ কলকাতায় ভোটপ্রচারে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সেনাপতিও সেই কাজে নামতে দেরি করেননি। মঙ্গলবার সকালে নিজের এলাকায় দেওয়াল লিখন সারলেন। তারপর যা করলেন, তাতে প্রাথমিকভাবে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেন পথচলতি মানুষজন।
উঠে পড়লেন একটি বাসে। বসার জায়গা ছিল না। কিন্তু মন্ত্রীকে বাসে উঠতে দেখে অনেকেই আসন ছেড়ে বসার অনুরোধ করেন তাঁকে। কিন্তু শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। জানান, রাসবিহারী থেকে নিজের বাড়ি জগুবাবুর বাজার পর্যন্ত যেতে তাঁর বসার প্রয়োজন হবে না। তিনি এমনিই অনেক কাজ করেন। এই বাস সফর তাঁর কাছে কিছুই নয়। এরপর কনডাক্টরের কাছে টিকিট কাটেন। নেমে পড়েন নির্দিষ্ট স্টপেজে। আর এইটুকু সফরেই জনসংযোগের কাজটিও মিটিয়ে নেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কথা বলেন সহযাত্রীদের সঙ্গে। জানান, এভাবেই মাঝেমধ্যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁদের সুবিধা, অসুবিধার বিষয়গুলি। বিদ্যুৎমন্ত্রী হওয়ার পরও সেই অভ্যাসে এতটুকুও বদল হয়নি।
ক্যাম্পাসের মায়া কাটল না ‘ডন’-এর, যাদবপুরই অন্তিম ঠিকানা
এর আগেও এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই মানুষের সঙ্গে মিশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের সুনাম অর্জন করেছে শোভনদেব। বিধায়ক হিসেবে এলাকার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখেন। আপদে, বিপদে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আঁকাআঁকির চর্চা থাকায় নিজেই দেওয়াল লেখেন। শারীরিকভাবে যথেষ্ট সুস্থ, তাই দৌড়াদৌড়ি করে কাজও করতে পারেন। প্রাণখোলা, সহজ মানুষ, তাই মানুষও নির্দ্বিধায় কোনও অসুবিধায় তাঁর কাছে যেতে পারেন। মন্ত্রী হলেও মাটির কাছাকাছি থেকে কাজের চিরাচরিত অভ্যেস যায়নি। যে কোনও ভোটেই দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর প্রচারে সাড়া দিয়ে থাকেন আমজনতা। এবারও সেই অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাচ্ছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে আমজনতা বলছেন, জনসংযোগের উদ্দেশ্য যাই-ই হোক, খোদ মন্ত্রীকে বাসে উঠে সফর এর আগে কবেই বা দেখা গিয়েছে শহর কলকাতায়?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.