Advertisement
Advertisement
শোভন চট্টোপাধ্যায়

নাড্ডার সঙ্গে কথা শোভনের, পুরভোটের আগেই ফের সক্রিয় হচ্ছেন প্রাক্তন মেয়র?

রত্নাকে তৃণমূল দায়িত্ব দিতেই অসন্তুষ্ট শোভন।

Sovan Chatterjee talks to JP Nadda, sparks speculation

ছবি: ফাইল

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 10, 2020 5:12 pm
  • Updated:March 10, 2020 5:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন পুরভোটে রত্নার উপর তৃণমূল আস্থা রাখতেই শোভনে সক্রিয় হল বিজেপি। পুরভোটে প্রাক্তন মেয়রের ওয়ার্ডে প্রচারের বড় দায়িত্ব পেয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন ঘরনির উপর আস্থা রেখেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শোভন বলে সূত্রের খবর। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সক্রিয় রাজনীতিতে শোভনকে আনার জন্য তৎপর হয়েছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তবে কি পুরভোটে বিজেপির মুখ হচ্ছেন শোভন? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

একুশের লক্ষ্যে পুরভোটে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। ২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হওয়া নতুন কর্মসূচি ‘বাংলার গর্ব মমতা’র কাজ শুরু হয় শনিবার থেকে। আর নিজের এলাকায় প্রথমদিন প্রচারের শুরুতেই রীতিমতো চমক দেন দলের মহাসচিব তথা বেহালা পূর্বের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যার জন্য বোধহয় প্রস্তুত ছিলেন না ওয়াকিবহাল মহলের কেউই। তাঁর পাশের নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটপ্রচারের দায়িত্ব তুলে দিলেন প্রাক্তন মেয়রপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন রত্নাদেবী। অর্থাৎ তাঁর মূল কাজ, আসন্ন পুরনির্বাচনে যে যে কাউন্সিলররা প্রার্থী হবেন, তাঁদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা। এই দায়িত্ব তুলে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরোক্ষে প্রাক্তন মেয়রের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, “একজনকে এই কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। কেউ নিষ্ক্রিয় হলে তো আর তাঁর কেন্দ্র নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের বামফ্রন্টের টিকিটে রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য! সমর্থন কংগ্রেসেরও]

সূত্রের খবর, রত্নাকে তৃণমূল দায়িত্ব দিতেই অসন্তুষ্ঠ হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি অমিত শাহর সভার আগে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় ‘ফিরে আসুন শোভনদা’ লেখা ও প্রাক্তন মেয়রের ছবি দিয়ে হোর্ডিং পড়েছিল। কলকাতা নাগরিকবৃন্দের সেই হোর্ডিং নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানান, এ কাজ দলের কারও নয়। তার কয়েকদিন পর রত্নাকে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়ায় বিতর্ক নতুন করে উসকে ওঠে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে রত্নাকে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়ায় শোভনের অসন্তোষের কথা পার্থকে জানিয়েছেন বৈশাখী। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈঠক প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তেমন কোনও কথাই হয়নি বৈশাখীর সঙ্গে। মিল্লি আল-আমিন কলেজ নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

কিন্তু শোভনের অসন্তোষ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘রত্নাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য শোভন যদি অসন্তুষ্ট হয় তাতে তো আমার কিছু করার নেই। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ও কী চায় সেটা খুলে বলুক না। আলোচনা হোক। দেড়-দুবছর ধরে একজন সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, দেখতেও তো খারাপ লাগে। আমি তো চাই, ও রাজনীতিতে ফিরুক।’ একই কথা বৈশাখীদেবীরও। তিনি বলেছেন, ‘শোভনবাবু সক্রিয় রাজনীতি দ্রুত ফিরুন। এটাই চাই।’ তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শোভনের কথা হওয়ায় প্রাক্তন মেয়রের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার ব্যাপারে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

[আরও পড়ুন: জয় হিন্দ ধাবায় শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা, প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত ৩ বন্ধু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement