ছবি: ফাইল
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আরও বাড়ল দূরত্ব। স্পিকারের অনুরোধেও কাজ হল না। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিধানসভার মৎস এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভার সেক্রেটারির কাছে ফ্যাক্স মারফত আসে শোভনবাবুর ইস্তফাপত্র। আর এই বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘আমি এখনও কোনও কিছু হাতে পাইনি। তবে এইটুকু বলতে পারি, ওনার নীতি নৈতিকতা থাকলে আরও আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’ প্রসঙ্গত, আগেই কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভনবাবু। এবার বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কমিটির বৈঠকে যাচ্ছিলেন না। গত শনিবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করে কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে বলেন। সেইসঙ্গে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরারও অনুরোধ করেন। তখন শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁকে ফোনে আশ্বস্ত করে বলেন, সময় পেলে দেখা করবেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিধানসভার সচিবকে ফ্যাক্স মারফত নিজের ইস্তফা পাঠিয়ে দিলেন তিনি। পদত্যাগ পত্রেও খুব সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন শোভনবাবু। লিখেছেন, ‘অনিবার্য কারণবশত আমি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্থায়ী সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’ আর তাতেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্পিকার। তাঁর অনুরোধ সত্ত্বেও দেখা না করে ইস্তফা পাঠানোয় তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শোভনবাবুর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা নাকচ করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বৈশাখীদেবীর অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থবাবু। তার পরেরদিনই বিমানবাবুর ফোন এবং তাঁর অনুরোধে সাড়া দেওয়ায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনাকে প্রবল করেছিল। এমনটাই মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেওয়ায় দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব আরও বাড়ল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.