Advertisement
Advertisement

দলের প্রয়োজনে কাউন্সিলর পদও ছাড়তে রাজি, ইস্তফার পর জানালেন শোভন

নেত্রীর নির্দেশেই পদত্যাগ, দাবি বিদায়ী মেয়রের।

Sovan Chatterjee press meet
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 22, 2018 4:59 pm
  • Updated:November 22, 2018 5:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন আগেই৷ মাত্র কয়েকঘণ্টা আগেই ইস্তফা দিয়েছেন মেয়রের পদ থেকেও৷ এখানেই শেষ নয়৷ প্রয়োজন হলে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদও ছাড়তে রাজি তিনি৷ গোলপার্কের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে একথাই জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷

[ইস্তফা শোভনের, কলকাতার নয়া মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম]

১৯৭৮-৭৯ সালে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু৷ খুব কম বয়সেই কলকাতা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন৷করা হয়েছিল বরো কমিটির চেয়ারম্যান৷ ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যও৷ রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন শক্ত কাঁধে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য ছিলেন শোভন, একথা প্রচলিত রাজনৈতিক জগতে৷ আচমকাই সম্পর্কের অবক্ষয়৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, ব্যক্তিগত জীবনে ‘বিশেষ বন্ধু’ বৈশাখির আগমনে ক্রমাগত দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন শোভন৷ দলনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল বলেই দাবি তৃণমূল সূত্রের৷ মঙ্গলবার দমকলের গাড়ি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান মঞ্চেও তাঁকে ধমক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এরপরই সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রিত্ব ছাড়ার৷

Advertisement

[শোভনকে আইনি নোটিস রত্নার, সাতদিনের মধ্যে জবাব তলব]

 ওইদিন সন্ধেয় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন৷ সিদ্ধান্ত মেনে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শোভনের দাবি, পরেরদিনই তাঁকে মেয়রের পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ বুধবার ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবারই চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কাছে নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন শোভন৷ তা গৃহীতও হয়। এরপরই গোলপার্কের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন শোভন৷ সাংবাদিক বৈঠকে দলের পাশে আজীবন ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি৷ প্রয়োজন হলে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ ছাড়তেও রাজি বলে জানান শোভন৷ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলকাতা পুরসভার পরবর্তী মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন অতীন ঘোষ৷ সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও এমনটাই শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নিজের উত্তরসূরিদের শুভেচ্ছাও জানান শোভন৷

[বিধানসভায় পাশ পুর আইনের সংশোধনী বিল, শোভনকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর]

দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি শোভন৷ স্ত্রী রত্নার সঙ্গে পারিবারিক বিবাদের প্রসঙ্গও উঠে আসে৷ সামনে আসে বৈশাখির প্রসঙ্গও৷ সুকৌশলে পারিবারিক প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান কলকাতা পুরসভার বিদায়ী মেয়র৷ গোটা পরিস্থিতির জন্য বৈশাখিকে দায়ী করা অনুচিত বলে দাবি করেন তিনি৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement