আলাপন সাহা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রায় শামিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহধন্য ছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। একে অপরের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা আর মুগ্ধতায় ভরপুর ছিলেন তাঁরা। তাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রায় পিছিয়ে থাকলেন না সৌরভ।
এক দশকের বেশি সময় ধরে অসুস্থ থাকার পর প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। মুম্বইতে থাকা বেহালার ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে সেই খবর পৌঁছতে বেশি দেরি হয়নি। সেখান থেকে ছুটে আসতে না পেরে যেন আরও বেশি করে বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন।
রাতেই সৌরভ ঠিক করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। সেই কথা রাখতে ভুল করেননি তিনি। এদিন বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রায় শামিল হন তিনি। তখন রাজপথে অসংখ্য মানুষের ঢল। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষবার দেখতে কলকাতার রাস্তায় কার্যত জনসমুদ্র। তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই থমকে যায় সৌরভের গাড়ি। মিছিলের মধ্যে তাঁর গাড়ি বেশি দূর এগোতে পারেনি। কর্মরত পুলিশের সঙ্গে কথা বলে হাঁটা পথে বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রায় পা মেলান তিনি। যত দূর এগোনো যায়, তত দূর পথ হাঁটেন সৌরভ। অবশেষে দূর থেকেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধবাবুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন মহারাজ। মুম্বইয়ে বসেই স্মরণ করেন তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের কথা। বলেন, পুরোপুরি খেলাপাগল মানুষ ছিলেন। যতবার কথা হয়েছে, ততবার শুধু সমসময় নয়, ক্রিকেটের অতীত নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুজনের। যে কোনও ম্যাচের আগে-পরে সৌরভের সঙ্গে কথা বলতেন বুদ্ধবাবু। বলতেন আজকের পারফরম্যান্স, ক্রিকেট ইতিহাসের কথা। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে যাচ্ছে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের কথা। সেবার রানার্স হয়ে ফিরেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। রাজ্যে তখন বামশাসন। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সৌরভদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় সরকারের তরফে। বুদ্ধবাবুর উপস্থিতিতে সেই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সৌরভের সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.