ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: হস্টেলের দাবিতে দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই আমরণ অনশনে বসেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা৷ ২৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনের ফলে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই৷ এবার সেই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ জাহির করে জানালেন, মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের কথা না শোনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷ কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কাম্য নয়৷
[১৯-এর লক্ষ্যে সারা বছরের কর্মসূচি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধীরে ধীরে বাড়ছিল মেডিক্যাল কলেজের সমস্যা৷ প্রথমে সমস্যা সীমাবদ্ধ ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে৷ হস্টেলের দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করছিল তাঁরা৷ কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের সেই শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচিতে প্রথমে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ, পরে হেনস্তা করা হয় তাঁদের৷ এরপরই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমরণ অনশনে বসেন ছ’জন পড়ুয়া৷ পরে তাতে অংশগ্রহণ করেন তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের অন্যান্য পড়ুয়ারা৷ তাঁদের সমর্থন জানান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রায় দেড়শো জুনিয়র ডাক্তার ও হাউজ স্টাফ৷ টানা বারোদিন ধরে চলা আমরণ অনশনে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক পড়ুয়া৷ অনেকেরই রক্তচাপ কমে গিয়েছে, তাঁরা শয্যাশায়ী৷ তবুও জমি ছাড়তে নারাজ তাঁরা৷
[ব্রিগেডে পালটা সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি, তৃণমূলকে ভাগাড়ের সঙ্গে তুলনা বিজেপির]
এইসবেই বিরুদ্ধে শনিবার মুখ খুললেন ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ নিজের উদ্বেগ চেপে রাখতে না পেরে তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের দাবি শুনতে না চাওয়া প্রশাসন ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের অমানবিকতার ফল৷ কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এই ঘটনা কাম্য নয়৷ উচিত সমস্যার সমাধানে সকলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনা করা উচিত বলে জানান এই প্রবীণ অভিনেতা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.