Advertisement
Advertisement
Durga Puja

‘আর জি কর কাণ্ডে বিচার চাই, তবে পুজোয় ব্যাঘাত নয়’, বলছেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা

যৌনপল্লির মাটি দিয়ে আদৌ কি ঠাকুর গড়া হয়? উত্তর দিলেন শাস্ত্রজ্ঞ জয়ন্ত কুশারী।

Sonagachi will not provide soil to arrange Durga Puja
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 26, 2024 12:32 pm
  • Updated:August 27, 2024 8:25 pm  

অভিরূপ দাস: মাটি দেবেন না সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। তবে দুর্গোপুজোয় (Durga Puja 2024) কোনও বিশৃঙ্খলতা বা ব্যাঘাত তৈরি হোক তা তাঁরা চান না। সাফ জানিয়েছেন, আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। সুবিচার চাই। তবে পুজোয় মাটি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সম্পাদক বিশাখা লস্কর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই যৌনপল্লির লাইসেন্সের জন্য লড়াই করছেন তাঁরা। দেহোপজীবিনীদের কাজকে মর্যাদা দিতে হবে। সেই দাবিতেই বিগত বছর পাঁচেক ধরে তাঁরা মাটি দিচ্ছেন না। এবার সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকছেন তাঁরা।    

“দুর্গাপুজোয় লাগে যৌনপল্লির মাটি। আর জি কর কাণ্ডের জেরে তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গণিকারা!” বিগত কয়েকদিন ধরে এমন পোস্ট ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়। যাকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বললেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। বরং তাঁদের পালটা দাবি, “আমরা কখনও দুর্গাপুজোয় জটিলতা তৈরি করতে চাইনি। চাইও না। পুজো কেন বন্ধ হবে? আমাদের নাম নিয়ে এসব মিথ্যে রটানো হচ্ছে।”

Advertisement
Darshan
ফাইল ছবি

সম্প্রতি আর জি কর মেডিক‌্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চারিদিকে শোকের আবহ। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হচ্ছেন সমাজের নানা ক্ষেত্রের মানুষ। প্রতিবাদ মিছিল করেছেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরাও। তারপরেই সামাজিক মাধ‌্যমে রটে যায় একটি ‘পোস্ট।’ যেখানে লেখা, “যৌনকর্মীরা বলছে যৌনপল্লির মাটি তারা দেবে না।” এদিকে যেকোনও দুর্গাপুজো করতে আবশ্যিক উপকরণ পতিতাপল্লির দরজার সামনের মাটি। যদিও তা নিয়ে জনমানসে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই ভাবেন যৌনপল্লির মাটি দিয়ে ঠাকুর গড়া হয়। শাস্ত্রজ্ঞ জয়ন্ত কুশারী জানিয়েছেন, “প্রতিমা তৈরি করতে যৌনপল্লির মাটি আদৌ লাগে না। যাঁরা এমনটা জানেন তাঁরা ভুল জানেন।”

[আরও পড়ুন: ‘এক রাতে নোটবন্দি-লকডাউন হলে, ধর্ষকদের ফাঁসি নয় কেন?’, সরকারকে কড়া প্রশ্ন শুভশ্রীর ]

তবে, কোথায় লাগে যৌনপল্লির মাটি? সর্বভারতীয় প্রাচ‌্য বিদ‌্যা আকাদেমির অধ‌্যক্ষর কথায়, শাস্ত্র বলছে দুর্গাপুজোর সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে মায়ের মহাস্নান হয়। সেখানে দশ রকমের মাটি লাগে। তার মধ্যে একটা অবশ‌্যম্ভাবী উপকরণ যৌনপল্লির দরজার সামনের মৃত্তিকা। শাস্ত্রজ্ঞ জানিয়েছেন, সে মৃত্তিকা না দেওয়া মানে কার্যত পুজো বন্ধ রাখার শামিল। সামাজিক মাধ‌্যমে যেভাবে পুরো বিষয়টি রটছে, তাতে এমন বার্তাও যাচ্ছে যে দুর্গাপুজোয় ব‌্যাঘাত তৈরি করতে চান পতিতাপল্লির মহিলারা।

Durga Puja 1
ফাইল চিত্র

সোনাগাছির দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির অ‌্যাডভোকেসি অফিসার সুজাতা সাহা জানিয়েছেন, পতিতাপল্লির একজনও দুর্গাপুজোয় ব‌্যাঘাত সৃষ্টি করতে চায় না। আমরা চাই আর জি কর মেডিক‌্যাল কলেজের ঘটনায় অভিযুক্ত যথোপযুক্ত শাস্তি পাক। সুজাতাদেবীর কথায়, “পুজোটা সকলের আনন্দের জায়গা। সারাবছর অসংখ‌্য মানুষ এটার জন‌্য অপেক্ষা করে থাকেন। পুজোকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়। সেখানে কেন পুজোয় ব‌্যাঘাত তৈরি করব? সোনাগাছির পতিতাপল্লির কর্মীরা বলছেন, বিদেশ থেকে শহর কলকাতায় অসংখ‌্য বিদেশি আসেন পুজো দেখতে। তাঁদের কাছে আমরা শহর নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি করতে চাই না।”

[আরও পড়ুন: ছদ্মবেশে উসকানির ছক, তৈরি ভয়ংকর প্লট’, নবান্ন অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement