সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল ছেড়েছেন মৌসম নূর। গনি পরিবারের এই সদস্যার দলছাড়া যে প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, প্রকাশ্যে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা স্বীকার করার সাহস দেখাচ্ছে না। বরং, তাঁরা আরও আক্রমণাত্মক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন, “মৌসম চলে যাওয়ায় আমাদের সাংগঠনিক ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা নেই। ব্যথিত হয়েছি শুধু ও গনি পরিবারের সদস্য বলে।” আবার তিনি নিজেই বললেন, “গতকাল অবধি মৌসমকে বোঝানো হয়েছে। চারদিন আগেও মৌসমের সঙ্গে কথা হয়েছে আহমেদ প্যাটেলের। কাল দুপুরে আমি নিজে মৌসমকে ফোন করেছিলাম।”
আসলে, গনি পরিবারের এই সদস্যের দলত্যাগ সাম্প্রতিক কালে মুকুল রায়ের পর এরাজ্যের সবচেয়ে বড় দলবদল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সোমবার মৌসমকে দলের নতুন সদস্য বলে স্বীকার করে তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করে দেন, মৌসম লড়বেন মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকেই। তার জবাবে এদিন সোমেন মিত্র বললেন, “মালদহ উত্তর কেন্দ্র থেকে মৌসমকে জিততে দেব না। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।” পাল্টা চাল দিয়ে ইতিমধ্যেই মৌসমের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তাঁরই ভাইকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। আসলে, গনি পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে গনি আবেগকেই কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। এদিন সোমেনবাবু সেকথাই বলেছেন। তিনি আরও বলেন, “মালদহের মানুষ দেখছেন, কীভাবে গনি খান চৌধুরির চিন্তাধারার সঙ্গে বেইমানি করল মৌসম। মালদহের মানুষ এর জবাব দেবেন।”
প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির সুরে সুর মিলিয়েই এআইসিসির পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ বললেন, ” মৌসমকে দলে টেনে আসলে বিজেপিরই সুবিধা করে দিল তৃণমূল। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ যে উদ্দেশ্যে মালদহে সভা করলেন, সেই উদ্দেশ্য সাধিত হল ।” আসলে প্রদেশ নেতৃত্বের ইঙ্গিত পরিষ্কার। মৌসমকে কোনওভাবেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। তাঁর বিরুদ্ধে রীতিমতো নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপাবে কংগ্রেস। আর এখানেই লাভ দেখছে বিজেপি। মালদহে সংখ্যালঘু ভোটার বেশি। কিন্তু কংগ্রেস-তৃণমূলের এই দড়ি টানাটানিতে সংখ্যালঘু ভোট দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। আর তা যদি হয়, তাতে আখেরে গেরুয়া শিবিরেরই সুবিধা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.