সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালে এখনও জারি অচলাবস্থা। বছরের প্রথমদিনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান নার্স-সহ হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রায় দু’মাস বেতন না পেয়েও পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা। তাই হঠাৎ করে জারি হওয়া লক আউটের নোটিস তাঁরা মানবেন না। যদিও আনন্দলোক হাসপাতালের কর্ণধার স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনই লক আউটের নোটিস প্রত্যাহার করছেন না। তাই জট কাটার ইঙ্গিতের পরেও একইরকম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন কর্মীরা।
গত সোমবার আনন্দলোক হাসপাতালের গেটে লক আউট নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, কর্মচারী সংগঠনের দুই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বাড়তে থাকা লোকসান আর কর্মীদের একাংশের বিশৃঙ্খলার জন্যই শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁরা আরও জানান, ১ জানুয়ারি থেকে কোনও কর্মীকে বেতন বা বকেয়া টাকা দেওয়া হবে না। তবে মঙ্গলবার সকালে ছড়িয়ে পড়ে স্বস্তির খবর। শোনা যায় প্রত্যাহার হতে পারে সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালের লক আউট নোটিস। তবে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবার সেই একই অচলাবস্থা জারি হয়। এদিন সকাল থেকেই প্ল্যাকার্ড হাতে হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নার্স-সহ অন্যান্য কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রায় দু’মাস বেতন পাননি তাঁরা। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভিড় জমানো রোগীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তাই একেবারে কম সময়ের ব্যবধানে হাসপাতাল মালিকের দেওয়া লক আউটের নোটিস তাঁরা মানেন না। তাঁদের অভিযোগ, বেতন না দিতে পারা সত্ত্বেও আনন্দলোক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায়শই বিনা কারণে কর্মী ছাঁটাই করত। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে নার্স-সহ অন্যান্য কর্মীদের।
এদিকে আবার হাসপাতাল মালিকের দাবি, কর্মী সংগঠনের দুই নেতা না সরে যাওয়া পর্যন্ত লক আউটের নোটিস তিনি প্রত্যাহার করবেন না। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও বেনিয়মের অভিযোগে আনন্দলোক হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে আর্থিক সাহায্য পেয়ে হাসপাতাল ফের চালু করা হয়। তার ঠিক দু’বছরের মাথায় আবারও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন নার্স-সহ অন্যান্য কর্মীরা। পাশাপাশি হাসপাতালে ভরতি থাকা রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের অবস্থাও প্রায় একইরকম। লক আউট নোটিস ঝোলানোর পর থেকেই পরিষেবা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.