Advertisement
Advertisement

Breaking News

আইসোলেশনে পুলিশ

না জেনেই করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে তল্লাশি, আইসোলেশনে পুলিশ

ফুলবাগান থানার মধ্যে ওই পুলিশকর্মীদের আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।

Some police officer stays in isolation for the scare of coronavirus
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 14, 2020 4:45 pm
  • Updated:August 14, 2020 4:46 pm  

অর্ণব আইচ: বাড়ির লোকেরা জানাননি যে মৃত বৃদ্ধ করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত। এমনকী, তাঁরা যে নিজেও কোভিড পজিটিভ, সে তথ্য জানানো হয়নি পুলিশকে। তাই না জেনেই করোনা রোগীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ছিলেন ফুলবাগান থানার পুলিশ অফিসাররা। বুধবার রাত থেকেই কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও পুলিশকর্মীকে পাঠানো হল আইসোলেশনে। তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে ফুলবাগানের নারকেলডাঙা মেন রোডে বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন রামকিশোর কেজরিওয়াল নামে এক বৃদ্ধ। পুলিশ তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দেহটি উদ্ধারের পর পুলিশের টিম বহুতলের আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাটে যায়। তিনি কোনও সুইসাইড নোট লিখে রেখেছেন কি না, তা জানার জন্য পুলিশ অফিসাররা পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালান। বৃদ্ধর জামাকাপড় ও বিছানাপত্র ঘাটা হয়। দেখা হয় তাঁর মোবাইল। যদিও মেলেনি সুইসাইড নোট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সবক’টি মামলায় জামিন, অবশেষে মুক্ত ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক সফিকুল-সহ ৩]

এরপর পুলিশ অফিসাররা বাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। এতক্ষণ পরে বাড়ির লোকেরা তাঁদের জানান, যিনি মারা গিয়েছেন তিনি কোভিড পজিটিভ। তাঁর বাড়ির লোকেরাও করোনায় আক্রান্ত। অথচ তল্লাশি চালানোর সময় তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়টি জানার পর ওই পুলিশকর্মীরা নিজেদের স্যানিটাইজ করেন। থানার মধ্যেই তাঁদের আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, মাসদুয়েক আগে একজন প্রোমোটারের মাধ্যমে একটি ফ্ল্যাট কেনার চেষ্টা করছিলেন রামকিশোর কেজরিওয়াল। ওই ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রোমোটারকে ২ কোটি টাকাও দিয়েছেন তিনি। তবে প্রোমোটার টাকা নেওয়ার পরেও তাঁকে ফ্ল্যাট হস্তান্তরিত করেননি। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধ। এছাড়াও গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো করোনা সংক্রমণ। সেই রোগের জেরে কিছুটা হলেও চিন্তিত ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পর প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে করোনা নাকি প্রোমোটারের সঙ্গে বিবাদ সে কারণে দায়ী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি খুনের সম্ভাবনাও এখনই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণে ‘দুর্নীতি’, এবার মুখ্যমন্ত্রীর নজরে প্রশাসনিক আধিকারিকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement