সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বেসরকারি হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু। আবারও কাঠগড়ায় চিকিৎসকরা। এনআরএসের পর ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় শিরোনামে জায়গা করে নিল CMRI। মারধরের ঘটনাকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না কেউই। ধিক্কার জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এভাবে চলতে থাকলে রোগীদের চিকিৎসা করতে চিকিৎসকরা ভয় পাবেন বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী একবালপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে দিনকয়েক ভরতি ছিলেন। একটি সন্তানেরও জন্ম দেন। প্রসূতি এবং সদ্যোজাত সুস্থ রয়েছে বলেই জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তবে বুধবার রাতে নার্সিংহোমের তরফে তরুণীর স্বামীর কাছে ফোন যায়। জানানো হয়, প্রসূতির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তড়িঘড়ি নার্সিংহোমে পৌঁছনোর পর তিনি জানতে পারেন, স্ত্রী মারা গিয়েছে।
নিহতের স্বামীর দাবি, ঘুমের ওষুধের ওভারডোজেই মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। এই অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর করতে থাকেন নিহতের পরিজনেরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়কে কষিয়ে চড় মারে প্রসূতির স্বামী। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়নি প্রসূতির। হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় আলিপুর থানায় নিহত প্রসূতির পরিবার এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে ওই বিক্ষোভের ছবি। সিসিটিভি ফুটেজে সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আপাতত তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
কারণ বোঝার চেষ্টা না করেই চিকিৎসককে মারধরের ঘটনাকে ভাল চোখে দেখছে না চিকিৎসক মহল। এ প্রসঙ্গে নির্মল মাজি বলেন, “চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর বিচার করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল, হেলথ রেগুলেটরি কমিশন রয়েছে। কিন্তু কেউই পুলিশের সামনে একজন চিকিৎসককে মারধর করতে পারে না। প্রকৃত দোষীর কঠোর শাস্তি হোক সেটাই চাই।” IMA সভাপতি শান্তনু সেনের গলাতেই সমালোচনার সুর। তিনি বলেন, “চিকিৎসক নিগ্রহ ঠেকাতে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া প্রয়োজন। নইলে একের পর এক চিকিৎসক নিগ্রহের শিকার হবেন।” এই ঘটনার পর থেকে বেসরকারি নার্সিংহোম চত্বরের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.