ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি মামলায় আদালতে বিস্ফোরক দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। সাক্ষীদের নাম প্রকাশ্যে আসার ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হচ্ছে। সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীদের।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন শংকর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস। চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন তল্লাশির পর সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। আদালতে শুক্রবার ধৃত ব্যবসায়ীর আইনজীবী। তিনি ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেন ফরোয়ার্ডিং লেটারে সাক্ষীর নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির। কেন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হচ্ছে না, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাক্ষী বয়ান দিয়ে যাওয়ার পর তা প্রত্যাহার করার আবেদন করছেন। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তবে কোন সাক্ষী বয়ান প্রত্যাহার করেছেন, কারাই বা ভয় দেখাচ্ছে, সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিতভাবে কিছু জানায়নি ইডি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থায় ব্যাপক কারচুপির তথ্য নজরে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সেই তদন্তে নেমে রেশন বণ্টনে দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে ইডি। বাকিবুরকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। ইডির দাবি, এই মামলার তদন্ত যত এগোয়, ততই স্পষ্ট হতে থাকে, রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুরের যোগসাজশের বিষয়টি। এর পরই গ্রেপ্তার হন শংকর আঢ্য। বর্তমানে ইডির জালে ধরা পড়েছেন শংকর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.