ফাইল ছবি
নব্যেন্দু হাজরা: সাধারণ যাত্রীদের জন্য এখনই খোলা হবে না শহরের লাইফ লাইন (Life line)। বরং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য চলতে পারে মেট্রো (Metro)। রেলবোর্ডের সম্মতি পেলে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পরিষেবা শুরু হতে পারে। মেট্রোরেলের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠক শেষে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সেক্ষেত্রে কারা পড়বেন জরুরি পরিষেবার আওতায়? মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন,সরকারি কর্মচারী, দমকল, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা যাঁদের অফিস যেতে হয় তারা জরুরি পরিষেবা দিয়ে থাকেন। মেট্রো চালু হলে তারা তাতে যেতে পারবেন।
সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মেট্রো রেলকে বলেছি ওরা ট্রেন চালাক। ওরা বলেছে লিমিটেড সার্ভিস দিতে পারবে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকেরা তাতে যাতায়াত করতে পারবেন। মুম্বইয়ের যেমন হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই। তবে এটা চালু হোক। অনেক লোক তো বাসে যাচ্ছিলেন, মেট্রো যদি চার ভাগের এক ভাগ লোককেও নেয় তবুও তো কিছু লোক যাবে। তিনি বলেন, “যে লোকটা মেট্রোয় যাবে তার জায়গায় তো আরেকজন লোক বাসে উঠতে পারবেন। বাসের ভিড় একটু কমবে। আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি চিঠি তৈরি করে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানোর জন্য।”
নবান্নের বৈঠক শেষে মেট্রোর তরফেও জানানো হয়েছে, তাঁদের পক্ষে আগের মতো অতগুলো ট্রেন এই পরিস্থিতিতে চালানো সম্ভব নয়। কিছু মেট্রো চালানো যেতে পারে। তবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য এখনই পাতাল পথ খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব। মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা মিটিং হয়েছে রাজ্যের সঙ্গে। সেই মিটিংয়ে আমরা জানিয়েছি যে, কোচের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে ট্রেন চালানো আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে আগের মত এতগুলো ট্রেন চালাতে পারব না। তাহলে আমরা কম সংখ্যায় কেবলমাত্র জরুরী পরিষেবার জন্য ট্রেন চালাব। জরুরি পরিষেবার আওতায় কারা পড়বেন সেই তালিকা রাজ্যই ঠিক করবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে এবার রাজ্য সরকার রেল মন্ত্রকের কাছে আরজি জানাবে। আমরা রেল মন্ত্রকের নির্দেশমতো পদক্ষেপ করব।” এদিকে মেট্রোর আধিকারিকদের কথায়, নবান্নের কথা মতো যদি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাও জরুরী পরিষেবা তালিকাভুক্ত হন সেক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। মেট্রোর পক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এতো যাত্রী তখন সামাল দেয়া যাবে তো! এদিন বিকেলে সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে মেট্রো ভবনে।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারলে ১ জুলাই থেকে কলকাতায় মেট্রো চালু হতে পারে বলে আগেই জানায়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা যতটা সম্ভব কমানোর ক্ষেত্রে মেট্রোর থেকে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ চাইছে, সে সব নিয়েই এদিন বৈঠক হয় নবান্নে। এ দিনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণসচিব প্রভাত মিশ্র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। কলকাতা মেট্রোর পক্ষ উপস্থিত ছিলেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশি ও চিফ অপারেটিং ম্যানেজার সাত্যকি নাথ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.