ছবি - প্রতীকী
কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: দ্বিতীয় পর্যায় লকডাউন ঘোষণার পরপরই বাজারে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা প্রশাসনের। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত বিধাননগরের তিনটি বাজার আগামী পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বাজার কমিটি।
বিধাননগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগর এলাকায় পাঁচটি বাজার বসে। মৃধা মার্কেট, জ্যোতিনগর খালপার, নতুন বাজার, সুপার মার্কেট এবং আরও কয়েকটি অস্থায়ী দোকান রয়েছে সেখানে। প্রত্যেকটি বাজার আগামী পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজার কমিটি। কমিটির সদস্য সুভাষ মণ্ডল জানিয়েছেন, “আমাদের এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। ভিড় এত যে, ব্যারিকেড দিয়েও কাজ হচ্ছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে নিরাপত্তার কারণে আমরা বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জগৎপুর বাজারের তরফে স্বদেশ রাজবংশী জানিয়েছেন, “বাজারের ভিড় সামাল দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আগামী চারদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যাংরা বাজারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “বুধবার থেকে বাজার বন্ধ থাকবে আগামী তিনদিন।
জগৎপুর বাজার এবং মৃধা মার্কেট বাজারে ভিড় সারাবছরই বেশি থাকে। লকডাউন পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছে বারাসত থেকে ওই বাজারে মানুষ গিয়েছেন পাঁঠার মাংস কিনতে! বাজার কমিটির তরফে বলা হয়েছে, দমদম, সল্টলেক, বাগুইআটির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন-সহ আশপাশের মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন এই চত্বরে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী কয়েকদিন বাজার বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিতে এক প্রকার বাধ্য হতে হয়েছে তাঁরা। বাজার কমিটির কথায়, তাঁদের হিসেব অনুযায়ী মানুষ আগেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করে রেখেছেন। তাহলে এখনও বাজারে ভিড় কেন? এ ভিড় মুদির দোকানে নয়, এখন মাছ-মাংসের দোকানেই ভিড় করছেন মানুষ। এমনকী বাসনের দোকান, চায়ের দোকান পর্যন্ত আবদার মেটাতে খুলে রাখতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এই প্রবণতা আটকাতে বাজার বন্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটির সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.