রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চতুর্থ দফায় লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দফায় দফায় লকডাউন বাড়ানোর একটাই লক্ষ্য সংক্রমণ রোখা। যখন অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্দি, তখন একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অথচ তাঁরাই হচ্ছেন আক্রান্ত। এবার করোনার হানা এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই চিকিৎসককে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
গত সোমবার থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ মেলে। তাই নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রিপোর্ট হাতে আসে। তাতেই জানা যায়, ওই চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। তারপর তাঁকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। এই হাসপাতালের আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত বলেই জানা গিয়েছে। তাঁদেরও চিকিৎসা চলছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
এর আগেও করোনা আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের বহু চিকিৎসক। গত মাসে বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সের শরীরে মেলে করোনার হদিশ। উত্তরবঙ্গে পাঠানো মেডিক্যাল টিমের এক চিকিৎসকও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাইপাসের ধারে পিয়ারলেস হাসপাতালেরও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ১১ জনের শরীরে COVID-19 জীবাণুও পাওয়া গিয়েছে। সেই তালিকাতেই জুড়ল এসএসকেএমের চিকিৎসকের নাম। সাধারণ মানুষের সেবা করতে গিয়ে চিকিৎসকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.