ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর আগে থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরমে। মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দপ্তর থেকে সল্টলেক অফিসে বেনজির বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। এবার রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে আরও বড়সড় বিক্ষোভের পথে যেতে চলেছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধরা।
জানা গিয়েছে, রাজ্য দপ্তরের সামনে লাগাতার ধরনা কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে এই বিক্ষোভ হবে। আর এমন দিনে এই কর্মসূচি হওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যেদিন রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। ৩১ অক্টোবর কলকাতায় আসার কথা সন্তোষের। সংগঠনের অবস্থা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর আরও একাধিক বৈঠক আছে। ওইদিনই বিক্ষোভ ও ধরনা কর্মসূচি নিতে পারে বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ। দলীয় সূত্রে এমনই খবর।
বঙ্গ বিজেপির মধ্যে এই মুহূর্তে কোন্দল চরমে। প্রবীণ নেতারা দলের এই অবস্থা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, দলের অবস্থা এখন হারতে হারতে হারাধন। আবার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের পর টুইটে দলকে নিশানা করেছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও। তথাগতবাবুর টুইট, ‘‘বঙ্গ বিজেপিতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের নোংরা পরিণতি। অবিলম্বে বিজেপিতে আদর্শগত ও সাংগঠনিক সংস্কার প্রয়োজন। লোকসভা ভোটের আর ৬ মাস বাকি, সতর্ক হোন।’’ টুইটে অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডাকে ট্যাগ করেছেন তথাগত রায়।
বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে ৬৭-তে চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ৩১ অক্টোবর কলকাতায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা বি এল সন্তোষের। দলের সংগঠন নিয়ে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া বিস্তারকদের একটি কর্মশালাতে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। সন্তোষ কলকাতায় এলে সেই দিনই রাজে্যর সহপর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে জোরদার বিক্ষোভে শামিল হতে পারেন দলের বিক্ষুব্ধরা। এদিকে, বিক্ষুব্ধদের ঠান্ডা করতে দলীয়স্তরে বহিষ্কার থেকে শো-কজ শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পুরনোদের কথা শুনে তাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য। কিন্তু তা না শুনে শাস্তির পথেই হাঁটছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির। কিন্তু কড়া পদক্ষেপ নিয়েও ফল উল্টো হচ্ছে। ক্ষোভ আরও দানা বাঁধছে। পুরো বিষয়টিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় এসে বিক্ষুব্ধদের ঠান্ডা করতে রাজ্য নেতাদের কী পরামর্শ দেন সন্তোষ সেদিকে নজর রয়েছে দলের একাংশের। ওইদিন বি এল সন্তোষের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করতে পারেন বিক্ষুব্ধরা। বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে সামসুর রহমানের বক্তব্য, ‘‘এ রাজ্যে দলের ভালো চাই। সেদিকে নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় নেতাদের। সন্তোষজির কাছেও সেই আর্জি আবার জানাব।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.