নেতাজি ইন্ডোরের সামনে বিশৃঙ্খলা। ছবি: ব্রতীন কুণ্ডু।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিবেশ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়া এই সমাবেশে কারা থাকবেন আর কারা থাকতে পারবেন না, তা নিয়ে তুঙ্গে তরজা। যোগ্য-অযোগ্য নির্বিশেষে এনিয়ে চূড়ান্ত সংশয়ে পড়েছেন কর্মহীনরা। সোমবার সমাবেশ শুরুর ঠিক আগেই এনিয়ে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। নেতাজি ইন্ডোরে প্রবেশের জন্য যে পাস বিলি হয়েছে, তা আসলে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগে সরব ‘অযোগ্য’রা। তাঁদের প্রশ্ন, কে বা কারা ওই পাস দিল? কাদেরই বা যোগ্য হিসেবে নির্বাচন করে সেসব পাস দেওয়া হল? আসলে টাকার বিনিময়ে তা বিক্রিই করা হয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলটি বাতিল হয়। তাতে রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েন ২৫,৭৫২ জন। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার শিক্ষককে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছিল এসএসসি। তার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতও তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে উল্লেখ করে। বাকি ১৭ হাজারের একটু বেশি সংখ্যক ‘যোগ্য’। কিন্তু ‘সুপ্রিম’ রায়ে তাঁরাও চাকরি খুইয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরাই চাকরিহারা ও চাকরিপ্রার্থী ঐক্যমঞ্চ গড়ে নতুন করে আন্দোলনে নামেন। ঠিক করেন, সোমবার, ৭ এপ্রিল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে সুবিচার চেয়ে সমাবেশ করবেন। সেইমতো আজ সকাল থেকে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে জমায়েত শুরু করেন। কিন্তু সকলের তো প্রবেশাধিকার নেই! ‘যোগ্য’ প্রার্থীরাই ঢুকতে পারবেন। তাঁদের জন্য দেওয়া হয়েছে ‘আমরা যোগ্য’ পাস।
আর এনিয়েই শুরু হয় সমস্যা। কারা যোগ্য? কারাই বা অযোগ্য? তা কারা ঠিক করে পাস বিলির দায়িত্ব নিল? চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, তাঁরা ‘যোগ্য’ হওয়া সত্ত্বেও পাস পাননি। তাই তাঁরা নিজেদের পক্ষে প্রমাণ স্বরূপ সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ওএমআর শিটের ফটোকপি নিয়ে আসেন, ঢুকতে চান ভিতরে। তবে তাতে ব্যর্থ হয়ে একাংশ অভিযোগ তোলেন, পাস বিলি নয়, বিলির নামে বিক্রি হয়েছে। আর তা নিয়েই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে আসার ঠিক আগে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.