সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিবরাত্রির আগে শহরে বেআইনিভাবে সাপ বিক্রির চেষ্টা করে ধরা পড়ল এক সাপুড়ে। তার কাছ থেকে ১২টি সাপ উদ্ধার হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা বেশ দুর্বল বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষকরা। হাতিবাগানে ওই ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কলকাতায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিভাগের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সুচন্দ্রা কুণ্ডুর। সরেজমিনে সবটা দেখার পর তিনি খবর দেন রাজ্যের বনদপ্তরে। বনকর্মীরা গিয়ে সাপুড়েকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় সাপগুলিকে।
সোমবার বেলার দিকে হাতিবাগান এলাকায় সাপুড়েকে দেখতে পান বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিভাগের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সুচন্দ্রা কুণ্ডু। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি ঝোলাসমেত ওই ব্যক্তিকে ডেকে নেন নিজের বাড়িতে। তারপর ঝোলা খুলতেই দেখা যায়, ঝুড়িতে রাখা বেশ কয়েকটি সাপ। যার মধ্যে রয়েছে কেউটে, চন্দ্রবোড়া, লাউডগার মতো বিষাক্ত সাপ। সবকটি সাপই অত্যন্ত দুর্বল। সুচন্দ্রাদেবী বুঝতে পারেন, বেআইনিভাবে সাপগুলিকে বন্দি করে ঘোরাফেরা করছেন ওই ব্যক্তি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও আশঙ্কা হয় তাঁর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বনদপ্তরে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১২টি সাপ উদ্ধার করে। আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সাপুড়েকে।
তাঁকে জেরা করে বেশ কয়েকটি তথ্য জানতে পারেন বনকর্মীরা। বনদপ্তর সূত্রের খবর, আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সাপ ধরতে দক্ষ। তাই বিষধর সাপও অতি সহজে নিজের ঝোলায় পুরতে পারেন। তা হাতিয়ার করে শিবরাত্রির আগে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। মানুষের অন্ধ ধর্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সাপ বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকায় আদায় করা ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু সেসবের আগেই রাজ্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বোর্ডের অতিথি সদস্য সুচন্দ্রা কুণ্ডুর চোখে পড়ে। ফলে টাকা আদায়ের স্বপ্ন ভেঙে সোজা শ্রীঘরে যেতে হয় সাপুড়েকে।
সূত্রের খবর, সাপুড়ে রীতিমত শক্তপোক্ত মানুষ। তিনি অন্য যে কোনও কাজ করতে সক্ষম। তা না করে কেন এভাবে বন্যপ্রাণ আইন ভেঙে সাপ ধরে বিক্রি করার পরিকল্পনা কেন করছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে ওই কাজটাই তিনি করবেন। সাপুড়ে এও জানান যে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তা সত্ত্বেও কী কারণে এই কাজটি করেন, সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অজানাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.