গোবিন্দ রায়: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল কলকাতা হাই কোর্টের সামনে। শুক্রবার দুপুরে এসএলএসটি প্রার্থীদের অনেকেই জড়ো হন হাই কোর্টের সামনে। সেসময় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি চলছিল এই মামলার। তারই মাঝে বিক্ষোভে শামিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেখানে বলেছে যে রাজ্যের অধিকার রয়েছে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা, সেখানে হাই কোর্ট কেন চাকরি আটকে রেখেছে? দ্রুত আইনি জট ছাড়িয়ে নিয়োগ চাই বলে দাবি তোলেন তাঁরা। ওঠে স্লোগানও।
আইনি জটে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ এখন স্থগিত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার আওতায় রয়েছে এই নিয়োগও। এনিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। শুক্রবার শুনানিতে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, রাজ্য নিয়োগে আগ্রহী। কিন্তু আইনি জটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিচারপতি জানান, এনিয়ে কোনও মৌখিক আর্জি নয়, রাজ্য নতুন করে আবেদন জানাক। তাহলে আদালত তা বিবেচনা করবে।
এর মাঝেই উচ্চ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। নিয়োগের দাবিতে তাঁরা নিয়োগের দাবিতে বহুদিন ধরে রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। মরণপণ লড়াইয়ের লক্ষ্য একটাই, পরিশ্রমের ফলে মেধাতালিকায় নাম উঠেছে, সেই প্রাপ্য চাকরিতে যেন তাঁদের নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এনিয়ে মামলা-মোকদ্দমার জটে তা আটকে রয়েছে। শুক্রবারও তাঁরা বিক্ষোভে শামিল হয়ে জোর গলায় দাবি তুললেন, চাকরি চাই। প্রশ্ন তুললেন, কেন অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে রাজ্য সরকারের অধিকারকে সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃতি দেওয়ার পরও নিয়োগ কেন আটকাচ্ছে হাই কোর্ট? এ বিষয়ে তাঁরা দায়ী করলেন সিপিএম নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। পুলিশ পরে তাঁদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.