সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেড রোডে ধরনা শুরু করেছিলেন। ৪৮ ঘণ্টা পর সেই ধরনা থেকে তিনি উঠে গেলেও মঞ্চ রয়েছে। দলনেত্রীর নির্দেশমতোই প্রতিদিন সেই মঞ্চে ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। রবিবার সেই ধরনামঞ্চেই ঘটল অনভিপ্রেত ঘটনা। হাওড়ার নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) মঞ্চে উঠতেই তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গদ্দার’ স্লোগান দিতে থাকে দলের নেতা, কর্মীদের একাংশ। বারবার বাধা দেওয়া হলেও শোনেননি কেউ। সেসময় মঞ্চে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। তিনি গোটা পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে হাওড়া জেলা নেতৃত্বকে মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেন।
দলনেত্রীর নির্দেশমতো রবিবার সকালে হাওড়া (Howrah) গ্রামীণ এবং দুপুরের পর হাওড়া সদরের জেলা নেতৃত্ব ধরনামঞ্চের দায়িত্ব নেয়। দুপুরের পর সেখানে পৌঁছন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া সদরের বিধায়ক অরূপ রায়-সহ জেলার শীর্ষ নেতারা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠতেই নিচ থেকে দলীয় কর্মী, সমর্থকরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। বলা হয়, ‘গদ্দার’ কেন এই মঞ্চে? ‘গদ্দার হঠাও’। সেসময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি সকলকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তবুও স্লোগান চলতে থাকে।
পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। তা দেখে ক্ষুব্ধ হন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে হাওড়া জেলা নেতৃত্বকে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। সাফ জানান, তাঁদের ছাড়াই ধরনা চলবে। তাঁর মেজাজ দেখে ঘাবড়ে যান নেতারা। কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে যান। আসলে হাওড়া জেলায় বরাবরই অরূপ রায়-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চাপা বিরোধিতা রয়েছে। তার মধ্যে রাজীব উনিশের ভোটের আগে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি তৃণমূলে ফেরেন। তাই ঘাসফুল শিবিরের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে রাজীবকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল। যার রেশ এই মঞ্চে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.