Advertisement
Advertisement

Breaking News

Slain BJP leader's postmortem to be held at Alipore command hospital

Cossipore BJP Leader Murder: আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে হবে কাশীপুরের বিজেপি নেতার ময়নাতদন্ত, নির্দেশ হাই কোর্টের

উত্তর ২৪ পরগনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকার নির্দেশ হাই কোর্টের।

Slain BJP leader's postmortem to be held at Alipore command hospital । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 6, 2022 5:02 pm
  • Updated:May 6, 2022 6:22 pm  

গোবিন্দ রায়: কাশীপুরের মৃত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্ত হবে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। ময়নাতদন্তের জন্য কম্যান্ড হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ। কল্যাণীর এইমস এবং আর জি কর হাসপাতালের একজন করে চিকিৎসক থাকতে পারেন ওই দলে। উত্তর ২৪ পরগনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকবেন। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে। দেহ আর জি কর থেকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রাপথের এবং নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব কলকাতার কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কাশীপুর হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি।

শুক্রবার সকালে কাশীপুরে পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার থেকে অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত আপাতত বন্ধের আরজিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন নিহত বিজেপি নেতার মা। মামলাকারী আদালতে জানান, “রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই। কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হোক। কেন্দ্রীয় ফরেনসিক আধিকারিকরা উপস্থিত থাকুন। কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা যেতে পারে। সব তথ্য সিবিআইকে হস্তান্তর করা হোক। রাজ্য পুলিশকে আপাতত তদন্ত থেকে বিরত রাখা হোক। যেহেতু এটা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মতো ঘটনা, তাই এই মামলা সিবিআইকে দেওয়া হোক।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, বঙ্গেও ‘অশনি’ সংকেত?]

নিহত অর্জুনের মা দাবি করেন, “অর্জুন এবং তার ভাই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার। ভাইকে মেরেছে পুলিশ। আমাকেও চুলের মুঠি ধরে একজন পুরুষ পুলিশকর্মী মারধর করেছেন। মৃতদেহের প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয়নি। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” আগাম জানানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। নিহতের মায়ের দাবি, “বৃহস্পতিবার রাতে মৃতের ফোন বেজে গিয়েছিল। তিনি ধরেননি। তখনই সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানানো হয়। টাওয়ার লোকেশন দেখলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হত। পুলিশ কিছুই করেনি।”

মামলাকারীর দাবি শোনার পর বিচারপতি রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “কল্যাণী এইমসকে দিয়ে ময়নাতদন্ত করালে কোনও অসুবিধা আছে? এখান থেকে দূরত্ব কত? এইমসের চিকিৎসকরা আর জি কর হাসপাতালে গিয়ে ময়নাতদন্ত করতে পারবেন? উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “তিনজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষা করছেন। পরিবারের সাহায্য প্রয়োজন। ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হোক। ভিডিওগ্রাফি করা হবে। নিম্ন আদালতের বিচারকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হোক, তাতে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই।” এরপর কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, “কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্তে পরিকাঠামো নেই। তবে চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁরা কম্যান্ড হাসপাতালে গিয়ে ময়নাতদন্ত করতে পারেন। সেখানে ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো আছে।” এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টে অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

[আরও পড়ুন: শাহের রাজ্যসফরের মাঝেই কলকাতায় ‘বিজেপি নেতা’র রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement