ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বালিগঞ্জের সানি পার্ক এলাকায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ রহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের পাশাপাশি ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন বরানগর, একজন রিষড়া ও একজন হাওড়ার বাসিন্দা। বাকি দু’জনের বাড়ি আগ্রায়।
শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ লালবাজার কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যবসায়ী শশীভূষণ দিক্ষীত চা খাচ্ছিলেন। একটু দূরে এসে দাঁড়িয়েছিল একটি গাড়ি। চায়ের দোকানের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে তোলা হয় ওই গাড়িতে। এরপরই গাড়িটি গতি বাড়িয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখে ওই ব্যক্তি গাড়িটির ছবি তুলে রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে বিষয়টি জানান। এই তথ্য পাওয়া মাত্রই তৎপর হয়ে ওঠে লালবাজার। গত কয়েকদিনে শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে এসেছে পরপর অপরাধের অভিযোগ। তাই দুষ্কৃতীদের ধরতে উঠে পড়ে লাগে পুলিশ। ফল মেলে ভোররাতে।
গাড়ির নম্বর যেহেতু পুলিশের কাছে ছিল, সেটি ট্র্যাক করে অপহরণকারীদের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যবসায়ীকে। গাড়িটিও সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম, জিতেন্দ্র প্রসাদ (২৭), সোনপাল সিং সিসোদিয়া (১৮), সতীন্দ্র সিং (২০), মুন্না সিং (৪৫), চন্দন কুমার পোদ্দার (২৮) ও প্রদীপ সিং (৩৫)। এদের মধ্যে জিতেন্দ্র ও মুন্না বরানগরের বাসিন্দা। সোনপাল ও সতীন্দ্র আগ্রায় থাকে। চন্দন রিষড়া ও প্রদীপ হাওড়ার বাসিন্দা।
জেরায় তারা পুলিশকে জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের থেকে টানা নিয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছে তারা। এমনকী চাকরির আগে যে মেডিক্যাল টেস্ট হয়, তাও করানো হয় ওই ছ’জনকে। লখনউয়ে গিয়ে সেগুলি করা হয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা। কিন্তু তারপর চাকরি আর হয়নি। যখন তারা বুঝতে পারে প্রতারণার শিকার হয়ছে, তারপরই অপহরণের ছক কষে ছ’জন। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরপর যদি ধৃতরা ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনে, তবে তার ভিত্তিতেও মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.