Advertisement
Advertisement
করোনা

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত আরও ৬, আমফানের ধাক্কায় বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা

বিদ্যুতের মতো মোবাইল-সহ নেটওয়ার্ক বিভ্রাট করোনা পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।

Six more people died in corona virus in West Bengal
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 21, 2020 10:21 pm
  • Updated:May 21, 2020 10:21 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: আমফানের ধাক্কায় বাড়ল করোনা সংক্রমণের শঙ্কা। যদিও দুর্গত মানুষকে মূলত গ্রামে বিভিন্ন শিবিরে সরানো হয়েছে বলে করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়বে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসক বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের মতো মোবাইল-সহ নেটওয়ার্ক বিভ্রাট করোনা পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ডাক্তাররা হাজির থাকলেও সমস্যা হয় পরীক্ষা যাদের করা হবে তাদের নিয়ে। গত কিছুদিন ধরেই রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে সাত-আট হাজারের মতো পরীক্ষা করা হয়েছে।

আর বৃহস্পতিবারের হিসেবে গত একদিনে মাত্র চার হাজার ২৪২টি পরীক্ষা করা গিয়েছে। অর্থাৎ গড়ে দু’দিনের হিসেবের অর্ধেক। মোট ল্যাবরেটরি অবশ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০। রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৯৪টি। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা হল, তিন হাজার ১৯৭। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৮৭ জন। এদিন কলকাতা এবং লাগোয়া চারটি জেলা ছাড়া আক্রান্তের ভিত্তিতে জেলা মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান। আর কোনও জেলা থেকে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি।

Advertisement

Corona

ইন্টারনেট পরিষেবা ভেঙে পড়ার ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য মিলতে দেরি হয়। স্বাস্থ্যদপ্তর যে হিসেব দেয়, সেখানে ওইদিনের সকাল পর্যন্ত তথ্য উল্লেখিত থাকে। বুধবার করোনা সংক্রমণের কলকাতা-সহ মূল পাঁচটি জেলাতেই আমফান নিয়ে আতঙ্কিত ছিলেন মানুষ। তবে আশঙ্কার কথা যে ওই জেলাগুলিতে কেবল আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি মানুষ। নবান্নের হিসেবে রাজ্যের মোট আক্রান্তের ৮০-৮৫ শতাংশ ওই জেলাগুলোর।

[আরও পড়ুন: আমফানের দাপটে ভাসছে বইপাড়া, লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের]

আমফানের ফলে উত্তর বা দক্ষিণ ২৪ পরগনা শুধু না, পূর্ব বা পশ্চিম মেদিনীপুরে একই স্কুল বাড়িতে ঠাসাঠাসি করে রাখতে হয়েছে কয়েকশো মানুষকে। স্বাভাবিক ভাবেই করোনা সংক্রান্ত যে সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক ব্যবহার সহ অন্য বিধিনিষেধ রয়েছে, সেগুলি মানা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক বা চিকিৎসকরা যদিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবু গ্রামীণ ওই সব এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম বলে উদ্বেগ বা শঙ্কা মারাত্মক পর্যায়ে যাচ্ছে না। ঝড় বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকায় করোনা পরীক্ষা করা কঠিন ছিল। সন্ধ্যে পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিল।

[আরও পড়ুন: আমফানের তাণ্ডবের প্রভাব হাই কোর্টেও, ইন্টারনেটের সমস্যায় বন্ধ জরুরি শুনানি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement