সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যুদ্ধজয়ের হাসি হেসেছেন সিঙ্গুরবাসী৷ সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন রায়ে নতুন করে প্রাণ ফিরেছে ঝিমিয়ে পড়া সিঙ্গুরে৷ আর তাই এই ঐতিহাসিক জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার৷ শিক্ষা দফতরের তরফে এই বিষয়টিকে স্কুল সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছাপ্রকাশ করা হল৷ শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সিলেবাস কমিটিকে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে৷
২০০৬ সালে সিঙ্গুরে প্রায় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল বাম সরকার৷ টাটাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে কৃষকদের উপর সিপিএম ও পুলিশ যৌথ হামলা চালিয়েছে বলেই খবর যায় তদানীন্তন বিরোধী দলের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে৷ কৃষকদের জমি পাইয়ে দিতে তখন থেকে শুরু হয়েছিল সংগ্রাম৷ জমি আন্দোলনের সেই ভিত্তি ধরেই বঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলের শুরু৷ বেআইনি জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে টানা ২৬ দিন অনশন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যার জেরে ফিরতে হয় টাটাদের৷ মাটির সেই আন্দোলনই মানুষের সমর্থন আদায় করে নিয়ে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে তোলে৷ সরকারে এসেই তাই সিঙ্গুর আইন করে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনি জটিলতায় তা পেরে ওঠেননি৷ দশ বছর পর গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে৷
এসব ঘটনার বর্ণনাই হয়তো থাকবে বইয়ের কোনও এক অধ্যায়ে৷ কিন্তু কোন শ্রেণিতে বা কোন অধ্যায়ে থাকবে, বা আদৌ বিষয়টি রাখা হবে কি না, তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি৷ কারণ শিক্ষামন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে ঘিরয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতোবিরোধ শুরু হয়েছে. অনেকে মনে করছেন, সিঙ্গুর আন্দোলন কোনওভাবেই স্কুল সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.