অর্ণব আইচ: রাতের কলকাতা কতটা সুরক্ষিত? সম্প্রতি খাস কলকাতার বুকে এমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, যাতে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে শহরের পুলিশ প্রশাসন। শহরের বেশ কিছু পয়েন্টে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নাকা চেকিং। আর যার জেরে গতকাল গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন গায়ক শিলাজিৎ-পুত্র ধী মজুমদার। যিনি পেশায় অভিনেতা এবং গায়কও বটে।
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে মারধর বাংলার সংস্কৃতি নয়’, মন্তব্য অমর্ত্য সেনের]
শুক্রবার গভীর রাতে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ধীকে। ২৩ বছর বয়সি ওই গায়কপুত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। উপরন্তু তাঁর সঙ্গে গাড়িতে থাকা দুই বন্ধু প্রিয়ম পাঞ্চাল এবং করণ পাঞ্চালও সেসময়ে মদ্যপ ছিলেন। প্রিয়ম এবং করণ সম্পর্কে দুই ভাই। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২৫। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা এই দু’জন। শুক্রবার রাতে এই দুই বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন শিলাজিতপুত্র ধী মজুমদার। গভীর রাতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পার্টি করে ফিরছিলেন। ঘড়িতে রাত তখন ১টা বেজে ১০। টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারীর দিকে দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল ধী-এর গাড়ি। সেসময়েই দেশপ্রাণ শাসমল রোডে টলি ক্লাবের কাছে পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলছিল। আর সেই নাকা চেকিংয়েই মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েন ধী। শুধু মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যই যে দুই বন্ধু-সহ তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমনটা নয়। তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে গাঁজাও। তবে, মাদক ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সেবনের জন্য, না বিক্রি করার জন্য ছিল তাঁদের কাছে, তা আপাতত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনটাই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ধী গড়ফার বাসিন্দা। তাই অত রাতে কোথা থেকে কী কারণে মদ্যপ অবস্থায় নিজে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন, এমন প্রশ্নও উঠেছে ধী-এর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ ছবি দিয়েই টলিউডে অভিনেতা হিসেবে পদার্পণ করেন ধী মজুমদার।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশ, তৈরি হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ইন্টারভিউ তালিকা]
বেঙ্গালুরুতে ডিজিটাল ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ধী মজুমদার। আপাতত পুলিশি হেজাজতে রয়েছেন ধী এবং তাঁর দুই সঙ্গী প্রিয়ম ও করণ। আজ, শনিবার তাঁদের তোলা হবে আলিপুর কোর্টে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নাকা চেকিংয়ের সময় মোট ১৬৩টি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর অপরাধে ধরা পড়েছেন ৮৭০টি বাইকের আরোহী। তবে, বিকেল গড়াতেই জামিন পেলেন ধী। এপ্রসঙ্গে শিলাজিৎ জানান, “ওর মতো প্রতিশ্রুতিবান ছেলের সঙ্গে এমনটা হওয়ায় আমি খুবই আঘাত পেয়েছি। বেঙ্গালুরুতে পড়ে। সম্প্রতি, একটা আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে চাকুরিও পেয়েছে। কলকাতায় ঘুরতে এসে হঠাৎ এমন একটা ব্যাপার ঘটে যাওয়ায় খুবই খারাপ লাগছে। তবে জামিন পাওয়ায় আমি অনেকটাই স্বস্তিতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.