নিরুফা খাতুন: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম (Sikkim Flash Flood)। সর্বত্র ধ্বংসের ছবি। কোথাও বাড়ি ধসে পড়েছে, কোথাও পাহাড় ভেঙে জলস্রোত হু হু করে ঢুকেছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিপর্যস্ত সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বাংলার প্রচুর পর্যটক। এখনও পর্যন্ত কলকাতার (Kolkata) একটি গোটা পরিবার নিখোঁজ। একই পরিবারের তিনজনের কোনও খবর মিলছে না এখনও। উদ্বিগ্ন তাঁদের আত্মীয়রা।
গত শনিবার কলকাতা থেকে ট্রেনে চড়ে সিকিমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন হালতুর (Haltu) সুচেতা নগরের বাসিন্দা দেবযানী নাগ, পলাশ নাগ এবং তাঁদের ছেলে পরাগ নাগ। পরাগ ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করেন। তিনি প্রায়শয়ই বিভিন্ন বেড়াতে যান। এবার তিনি মা-বাবাকে নিয়ে সিকিম যান। আর এবারই তাঁরা পড়লেন বিপদে। দেবযানী নাগের দিদি সুস্মিতা সেনগুপ্ত জানান, বুধবার থেকে বোন বা তাঁর পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি। তাঁদের মোবাইল সুইচড অফ। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়া (Social Media) ও টেলিভিশনে সিকিমের পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন। তার পরই চরমে ওঠে উদ্বেগ।
সুস্মিতা দেবী জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দেবযানীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছিলেন, বুধবার তাঁরা জিরো পয়েন্টের (Zero Point) উদ্দেশে রওনা দেবে। কিন্তু দেবযানী নাগের দিদি যখন বুধবার ফোন করেন, সেই সময় তাঁদের ফোন নাম্বার সুইচড অফ পান। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যম এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে সিকিমের পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে পারেন দেবযানী নাগের দিদি সুস্মিতা সেনগুপ্ত।
তড়িঘড়ি সিকিম প্রশাসনের হেল্পলাইন নম্বর, দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি প্রশাসনের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে তিন সদস্যের ছবি পাঠানো হয় দেবযানী নাগের দিদির তরফ থেকে। শনিবার তাঁদের এনজেপি (NJP) থেকে ট্রেন ধরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। সিকিমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.