রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: “যে তৃণমূল নেতারা বলছেন আমি উত্তরপ্রদেশে ভেগে গেয়েছি৷ তাঁদের উদ্দেশে বলছি, এখন দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমি ফিরে এসেছি। আগে বাংলার জামাই ছিলাম, এখন বাংলার শ্বশুর হয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল সরকারকে ভাগাবই”। রবিবার রাজ্য বিজেপি মিডিয়া সেলের একটি কর্মশালাতে যোগ দিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা জাতীয় বিজেপির মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং৷
[বাংলায় রাম মন্দির জিগির তুলতে একাধিক ধর্মসভা করবে ভিএইচপি]
২০১৩-র সুপারহিট বলিউড সিনেমা ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর নাম ধার করেই, রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে ‘ভাগ-ভাগ-ভাগ’ স্লোগান দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং৷ ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে এই স্লোগানেই প্রচারের ঝড় তুলেছিল বিজেপি৷ সিদ্ধার্থনাথের উচ্চারিত সেই স্লোগান এখনও গেঁথে রয়েছে বঙ্গবাসীর মনে৷ তবে, এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে৷ রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব ছেড়ে বর্তমানে যোগীর মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন ‘বাংলার জামাই’ সিদ্ধার্থনাথ৷ কিন্তু, বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হল সিদ্ধার্থনাথের৷ তাঁর স্ত্রী একজন বাঙালি, এবার ছেলের বিয়েও বাংলাতেই দিলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা৷ এমনকী, এখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধেও একইরকম আক্রমণাত্মক রয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি৷ যার বহিঃপ্রকাশ ঘটল এ দিন৷ রাজ্য বিজেপির কর্মশালায় যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এরাজ্যে কমপক্ষে ২৫টি আসন জয় করবে বিজেপি৷ কারণ, আগের তুলনায় বুথ স্তরে বিজেপির সংগঠন এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি জানান, ২০১৪-তেও বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসের অবসান ঘটেছে৷ ফলে বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
[বিজেপির রথযাত্রার থিম সং গাইবেন বাবুল সুপ্রিয়]
এমনকী, শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ড নিয়েও এ দিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলেই বলা হয় বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢুকে করেছে। আসলে ভোট ব্যাংকের জন্যই বিজেপির উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার। বেআইনি কিছু ঘটলে সরকারের উচিত তা বন্ধ করা, অন্য রাজ্যকে দোষারোপ করা নয়।” আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি৷ যা নিয়ে উত্তপ্ত রয়েছে রাজ্য রাজনীতি৷ প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি রাজ্য বিজেপিকে৷ যার বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে৷ রাজ্য প্রশাসনের এরূপ আচরণেরও সমালোচনা করেন তিনি৷ রবিবারের এই কর্মশালায় সিদ্ধার্থনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির ন্যাশনাল আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের সহযোগী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, রাজ্যের দুই সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.