সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবুঝ কিশলয়। শিশুমন বোঝে না সমাজের বৈষম্য, রেষারেষি। খেলার সুন্দর ব্যাটখানি কেন নেই তার হাতে? কেনই বা লাল টুকটুকে সোয়েটারটা তার নয়? এমন প্রশ্ন নিয়েই বড় হওয়া। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ শিশুদেরই পাশে দাঁড়াল শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। তাদের সঙ্গেই হল নতুন বছরের সেলিব্রেশন।
উৎসবপ্রিয় বাঙালির কাছে যেন গোটা জানুয়ারিটাই নতুন বছর। এই সময়ে যত পিকনিকের হুজুগ, গড়ের মাঝের আয়েশ করে বসে কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দই কিছু শিশু পায় না। তাদের মুখে ৬ জানুয়ারি হাসি ফোটাল শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। হেরিটেজ জুয়েলারি হাউস গুরুকুল শিশু নিবাসের শিশুদের সঙ্গে মেতে উঠল বর্ষবরণের আনন্দে। প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে এই দিনটি উদযাপন করে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শিশুদের জন্য প্রস্তুত ছিল একটি সুন্দর মঞ্চ। যেখানে তারা নাচ, গান পরিবেশন করে। প্রকাশ পায় তাদের সূপ্ত প্রতিভা। এর পাশাপাশি খেলাধুলা তো রয়েইছে।
এদিন নানা খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। বছরের একটা দিন যেন শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের আয়োজনে আনন্দের নতুন ঠিকানা পেয়ে গিয়েছিল শিশুরা। নানা উপহার দেওয়া হয়েছে তাদের। যার মধ্যে রয়েছে পড়াশোনার সামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম, তাদের পছন্দের ও পুষ্টির জোগান দেবে এমন কিছু খাবার, কেক এবং চকোলেট। উদযাপনের শেষ হয় একসথে বসে আনন্দের পংক্তিভোজনে। ‘বর্ষবরণ উৎসব’-এর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বামী গিরিজানন্দজি মহারাজ। ছিলেন শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অর্পিতা ও রূপক সাহা। রাতে পথবাসীদের জন্য কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণও করা হয়।
স্বামী গিরিজানন্দজি মহারাজ শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের এই বিশেষ উদ্যোগকে সাধুবাদ দেন। আশীর্বাদ করে ভবিষ্যতে সমাজের ভালোর জন্য যে সব প্রকল্পের ভাবনা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে তার জন্যও মঙ্গল কামনা করেন। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা বলেন, “আমরা এমন এক প্রতিষ্ঠান যারা জুয়েলারি শোরুমের চার দেওয়ালের বাইরে সবসময় কিছু করার প্রয়াস করি। সমাজের যে কোনও প্রয়োজনে সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।”
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের আরেক কর্ণধার অর্পিতা সাহা বলেন. “আমরা সর্বদা অসহায়, পরিত্যক্ত, আশ্রয়হীন নারী ও শিশুদের উদ্ধারে সহায়তামূলক উদ্যোগের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আনন্দে মন ভরে থাকা শিশুদের মুখে যে হাসি দেখা গেছে সেটাই বলে দিচ্ছে এই বছর আমাদের নতুন বছর উদযাপন তারা কতটা উপভোগ করেছে। আর সেখানেই আমরা খুঁজে পেয়েছি এই প্রয়াসের সার্থকতা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.