Advertisement
Advertisement

Breaking News

SVF কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে জেল হেফাজতে পাঠাল সিবিআই আদালত

তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।

Shrikant Mohta produced in court
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 25, 2019 3:41 pm
  • Updated:January 25, 2019 5:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিটফান্ড সংক্রান্ত আর্থিক প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার শিল্পপতি শ্রীকান্ত মোহতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। শুক্রবার ভুবনেশ্বর আদালতে তাঁকে পেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে আর জেরার করার জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। সেটা তাদের আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন। আবেদন করেন, শ্রীকান্ত মোহতাকে যেন জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। সেইমতো বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারকে জেরা করার জন্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। রোজভ্যালি এবং সারদা চিটফান্ড মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর শুক্রবার তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করার জন্য। সেইমতো এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এদিকে, সিবিআইয়ের অতি তৎপরতার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্নভাবে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্তার করার চক্রান্ত হিসাবে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে টুইট করেছেন মমতা।

সূত্রের খবর, রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর কাছ থেকে সিনেমা প্রযোজনা করার জন্য ২৫ কোটি টাকা নেন শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত। কথা ছিল কয়েকটি সিনেমা তিনি বানিয়ে দেবেন। কিন্তু এসভিএফ সেই সিনেমা বানাননি বা সেই কোয়ালিটির সিনেমা বানাননি। এছাড়া তিনি তা ফেরত দেননি বলেও অভিযোগ। উপরন্তু গৌতম কুণ্ডুকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, সারদা কাণ্ডের সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার একাধিক কাজে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। ফলে দুই সংস্থা থেকেই আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কেন তিনি এই দুই সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তা নিয়ে শ্রীকান্তকে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু এর কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি প্রযোজক। বহু নথিপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি। এরপরই তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি দেখা যায়। শেষপর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

Advertisement

[SVF-এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই]

এই ঘটনায় এসভিএফের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়, চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য শ্রীকান্ত মোহতাকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। জানুয়ারি মাসে ব্যক্তিগত কাজের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। তা তিনি চিঠি মারফত সিবিআইকে জানিয়েও দেন। একইসঙ্গে ১৫ দিনের সময়ও চেয়ে নেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কোনও আগাম খবর ছাড়াই কসবায় এসভিএফের অফিসে এসে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে সহযোগিতা করার জন্যই তাঁদের সঙ্গে সিজিও কমপ্লেক্সে যান শ্রীকান্ত। কিন্তু সেখানে তাঁকে প্রথমে আটক করা হয়। তারপর বয়ানে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করে এসভিএফ জানিয়েছে, বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাদের। শীঘ্রই সত্য সামনে আসবে।

[শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা করতে SVF-এর অফিসে সিবিআই]

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত এসভিএফ কর্তা শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা করে সিবিআই৷ শুক্রবার সকালেও তাকে জেরা করা হয়৷ বৃহস্পতিবার রাতে খাবার পাঠিয়েছিল পরিবার৷ কিন্তু সেই খাবার দেওয়া হয়নি তাঁকে৷ শুধু পরিবারের পাঠানো ওষুধ দেওয়া হয়৷ রাতে সিবিআইয়ের দেওয়া খাবারই খান তিনি৷ সকালেও শ্রীকান্তকে খাবার দেয় সিবিআই৷ পাউরুটি, ঘুগনি খেতে দেওয়া হয় মোহতাকে৷ সঙ্গে দেওয়া হয় চা৷ আপাতত ভুবনেশ্বরের জেলে পাঠানো হচ্ছে শ্রীকান্তকে। তবে তার আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement