Advertisement
Advertisement

Breaking News

SVF-এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই

শুক্রবার ভুবনেশ্বরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে শ্রীকান্ত মোহতাকে।

Shrikant Mohta detained
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 24, 2019 3:51 pm
  • Updated:January 24, 2019 7:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার করা হল এসভিএফের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে। সিবিআইয়ের তরফে প্রথমে আটক করার খবরই জানানো হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক জেরার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার, এসভিএফের কর্ণধারকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগামিকাল, শুক্রবার ভুবনেশ্বরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে শ্রীকান্ত মোহতাকে।

সূত্রের খবর, রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর কাছ থেকে সিনেমা প্রযোজনা করার জন্য ২৫ কোটি টাকা নেন শ্রীকান্ত। কথা ছিল কয়েকটি সিনেমা তিনি বানিয়ে দেবেন। কিন্তু এসভিএফ সেই সিনেমা বানাননি বা সেই কোয়ালিটির সিনেমা বানাননি। এছাড়া তিনি তা ফেরত দেননি বলেও অভিযোগ। উপরন্তু গৌতম কুণ্ডুকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, সারদা কাণ্ডের সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার একাধিক কাজে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। ফলে দুই সংস্থা থেকেই আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কেন তিনি এই দুই সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তা নিয়ে শ্রীকান্তকে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু এর কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি প্রযোজক। বহু নথিপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি। এরপরই তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি দেখা যায়। শেষপর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

Advertisement

শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা করতে SVF-এর অফিসে সিবিআই ]

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবায় এসভিএফের অফিসে হানা দেন সিবিআইয়ের ২০ জন আধিকারিক। এর আগে একাধিকবার তাঁকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। কিন্তু কোনওবারই এসভিএফের কর্ণধার দেখা করেননি। প্রতিবারই তিনি এড়িয়ে যান। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই আজ তাঁর অফিসে হানা দেয় সিবিআই।

এদিকে, এসভিএফের অফিসে হানা দেওয়ার খবর কসবা থানায় পৌঁছয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই থানা থেকে পুলিশ পৌঁছয় এসভিএফের অফিসে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, তাদের না জানিয়ে সিবিআই এভাবে কারওর অফিসে ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারে না। কিন্তু সিবিআইয়ের অফিসাররা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, একাধিকবার নোটিস পাঠিয়েও কোনও ফল না হওয়ায় তাঁরা সরাসরি এসভিএফের অফিসে এসেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই তদন্ত চলছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়। এরপর বিদায় নেয় কসবা থানার পুলিশ। কিন্তু রয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। পরে এসভিএফের কর্ণধারকে তাঁরা আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সমস্ত চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করা হচ্ছে বলেই জানায় সিবিআই৷ 

পুলিশের বক্তব্য তাঁদের কাছে খবর পৌঁছয় এসভিএফের অফিসে কোনও ঝামেলা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শ্রীকান্ত মোহতাই নাকি পুলিশকে খবর দেন। সেই কারণেই তাঁরা শ্রীকান্ত মোহতার অফিসে এসেছিলেন। কিন্তু সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার পর বিদায় নেন তাঁরা।

অভিভাবকদের বিক্ষোভে নতিস্বীকার, ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বদল আদিত্য অ্যাকাডেমির ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement