স্টাফ রিপোর্টার: দেখতে অবিকল এক। কিন্তু চিপলে রস বেরোবে না একফোঁটাও। লেবু যে প্লাস্টিকের! পয়লা বৈশাখের নিত্যপুজো শেষে দোকান বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের গেটের মুখে ঝোলানো হয় লেবু লঙ্কার ‘চেন’। উদ্দেশ্য একটাই। ব্যবসায় যেন কারও কুনজর না লাগে। অগ্নিমূল্যের কুনজর পড়েছে লেবুর উপর। ২ টাকা পিস বিক্রি হওয়া মামুলি পাতিলেবু এখন ৮/৯ টাকা পিস।
গেটের মুখে টাঙানো ১০ টাকার চেন তাই কোথাও পনেরো, কোথাও বা ২০ টাকা। অনেক দোকানিই প্লাস্টিক, শোলার চেনেই কাজ চালাচ্ছেন। চাঁদনি চক এলাকার দোকানির বক্তব্য, পয়লা বৈশাখ তো বটেই, এমনিতেও ফি মঙ্গল-শনিবারে ওই চেন লাগাতে হয়। প্রতি মাসে তার টাকা নেন পুরোহিত। আগে চারটে লেবু, চারটে লঙ্কা দিয়ে একটা চেনের দাম ছিল ১০ টাকা। এখন কুড়িটাকার নিচে এক পয়সাও কম নেবে না বিক্রেতা। অগত্যা প্লাস্টিক, শোলার লেবু লঙ্কা ভরসা। তার দাম যেমন কম, টেকেও বহুদিন। গাছের লেবু-লঙ্কা দু’দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। শোলা-প্লাস্টিকের এ জিনিস চলে মাসের পর মাস।
লেবুর দামে আগুনের ছ্যাঁকার পিছনে চেন্নাইয়ের বন্যাকেই দায়ী করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল দে। জানিয়েছেন, কলকাতার অধিকাংশ লেবু আসে চেন্নাই থেকে। শেষ বন্যায় সাফ হয়ে গিয়েছে চেন্নাইয়ের লেবু বাগান। প্লাস্টিকের লেবু লঙ্কা কি জায়গা নিতে পারবে গাছের লেবু লঙ্কার? সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা আকাদেমির অধ্যক্ষ ড. জয়ন্ত কুশারী জানিয়েছেন, মনে করা হয় লেবু লঙ্কা ঝোলালে কারও কুনজর পড়বে না। শোলার লেবু লঙ্কাতে সে কাজ হবে না। ব্যবসায়ীদের বলব, দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য চারটির জায়গায় একটি লেবু লাগান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.