Advertisement
Advertisement

Breaking News

CBI

নিয়োগ দুর্নীতি ‘শকিং’! চেনাই যেত না OMR শিট, ডিজাইন নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিল CBI

OMR শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, নেপথ্যে 'এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি' নামের সংস্থা, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের।

Shocking! CBI submits report on Teacher recruitment scam saying that OMR sheets have been destroyed and sold in Odisha | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 2, 2024 8:24 pm
  • Updated:January 2, 2024 9:06 pm  

গোবিন্দ রায়: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিল সিবিআই (CBI)। ওএমআর শিট বিকৃতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এমনভাবেই তা ডিজাইন করা হয়েছিল যে সেগুলি নিজেদের বলে চিনতেই পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। ফলে এতে কারচুপি করা কোনও ব্যাপারই নয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে যে যে তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের, তার ব্যাপকতা বোঝাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের মন্তব্য, ‘শকিং’। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তাতেই এসব উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর।

ওএমআর শিটে কারচুপি করে ইচ্ছেমতো প্রাপ্ত নম্বর বদলে কাছের লোকজনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমন বেআইনি কাজে জড়িত ছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাংশ থেকে রাজ্যের নেতা, মন্ত্রী ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা। আর তাতেই বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছিল। যার তদন্তের ভার সিবিআই ও ইডির উপর। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাই তদন্ত চালিয়ে বের করছেন একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগে ৭.৫ কোটির দুর্নীতি! ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর যোগ খুঁজে পেল ইডি]

মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে পেশ করে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীরা যে ওএমআর শিটে উত্তর লিখেছিলেন, তা ডিজাইন করে ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামে এক সংস্থা। অভিযোগ, কোনও টেন্ডার ছাড়া, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া এই সংস্থাকে ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, এর আগে এই সংস্থার কাজের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। আর সংস্থাও এমনভাবে তা ডিজাইন করে যাতে নিজেদের উত্তরপত্র পরে নিজেরাই চিনতে না পারেন। তাহলে নম্বর অদলবদলের বিষয়টিও বোঝা যাবে না আর কারচুপি ধরা পড়াও সহজ হবে না। এই ভাবনাই ছিল অভিযুক্ত সংস্থার।

[আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নন্দিনীর নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলছেন শুভেন্দু, ‘ওর গা জ্বলছে’, পালটা কুণালের]

তবে সিবিআইয়ের তদন্তের মুখে পড়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বীকার করে যে ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, শুধু বিকৃতই নয়। প্রচুর শিট নষ্ট করে ফেলা হয় এবং কিলো দরে বিক্রি করে দেওয়া হয় ওড়িশার একটি পেপারমিলে। সবমিলিয়ে গোটা দুর্নীতিই যে যে ধাপে হয়েছে, তা শকিং। আদালতে এমনই জানিয়েছে সিবিআই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement