ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: সাধারণ শিক্ষকদের মতো শিক্ষামিত্রদেরও ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করার অধিকার রয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখেই জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, শিক্ষামিত্রেরাও ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। পাশাপাশি এনিয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, তাঁদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে রাজ্যকে ওই সব শিক্ষামিত্রের কাজে ফেরাতে হবে।
জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় শিক্ষামিত্র নিয়োগ করে রাজ্য। সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিক্ষাবন্ধুরা। তাঁরা মূলত সার্কেলস্তরে স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিসে কাজ করে থাকেন। কাজের অনেকটা দায়িত্ব থাকে তাঁদের উপরই। যেমন স্কুল থেকে তথ্য নেওয়া, স্কুলব্যাগ, জুতো ইত্যাদি বিতরণের মতো কাজ করে থাকেন তাঁরা। এককথায় বলতে গেলে স্কুলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখাই হচ্ছে এঁদের প্রধান কাজ। এছাড়াও পিছিয়ে পড়া এবং স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরানো। ওই সব পড়ুয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব শিক্ষামিত্রদের উপর। রাজ্যে মোট ৩ হাজার ৩৩৭ জন শিক্ষাবন্ধু রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে শিক্ষামিত্রদের পদ পরিবর্তন করে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবক ঘোষণা করে রাজ্য। কিন্তু অভিযোগ, পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে তাঁদের একাংশের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, ৬০ বছরের আগেই চাকরি থেকে অবসর নিতে হবে। রাজ্যের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন শিক্ষামিত্রদের একাংশ। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ রাজ্যের ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। আদালত জানায়, সাধারণ শিক্ষকদের মতো তাঁরাও ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করবে। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.