সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান
গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। কেন শাহজাহানের বাড়ির ভিতরে ঢুকল না পুলিশ? ক্ষমতা থাকার পরও কেন তালা ভাঙল না তারা? মঙ্গলবারও বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ। বিচারপতি আরও জানতে চান, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে? ৩০৭ ধারা যোগ হয়েছে?
এদিন বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান প্রশ্ন, “আপনারা কি শাহজাহানের বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিলেন?” জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, তালা দেওয়া ছিল। এর পরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ক্ষমতা থাকার পরও কেন তালা ভাঙল না তারা? বাড়ি সিল করা হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। আদালত জানায়, “ঘটনায় পুলিশের অন্তত ৩০৭ ধারা যুক্ত করা উচিত ছিল। এখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠছে। আদালত কি পুলিশকে বলে দেবে কী ভাবে তদন্ত করতে হবে?” তার প্রেক্ষিতে এজির সওয়াল, “ইডির অভিযোগ দায়ের করার পরে পদক্ষেপ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শাহজাহানের বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁর বাড়ি ও অফিস রেড করে। রাত সাড়ে ১২ টাতেও ফের রেড হয়।” এজির সওয়াল ধরে বিচারপতির প্রশ্ন, “গতকাল আপনি বললেন যে, ঘটনার দিন রাতে পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে যায়নি। পরের দিন গিয়েছিল।” এ প্রসঙ্গে এজির পালটা সওয়াল, “তখন কেস ডায়েরি ছাড়াই তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এ বার তথ্য দেখে বলা হচ্ছে।”
এ নিয়েই ইডির তরফে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু অভিযোগ করেন, “বার বার অবস্থান পরিবর্তন করছে রাজ্য। পুলিশের এই ভূমিকা বলে দেয়, তারা নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করতে পারবে না। সিবিআই, এনআইএ বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হোক। যার বিরোধিতা করে রাজ্যের তরফে বলা হয়, “এখানে পুলিশের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করা হচ্ছে, এখানে পুলিশ কী দোষ করল? একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করছে। এই অবস্থায় কেন অন্য সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হবে?” পালটা ইডির আইনজীবী বলেন, “এত বড় ঘটনা ঘটল সেখানে পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। সব কিছু হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ এসেছে।” সব পক্ষের বক্তব্য শুনে এই চূড়ান্ত রায় দান স্থগিত রাখে আদালত। অবিলম্বে পুলিশকে সন্দেশখালি সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। বুধবার এই মামলার চূড়ান্ত রায়। পুলিশকে এই সংক্রান্ত দুটি এফআইআরের কপি আদালতে মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.