ছবিটি: প্রতীকী।
নব্যেন্দু হাজরা: উত্তর কলকাতার রাস্তায় খোঁড়া হচ্ছে এক বিশাল চৌবাচ্চা। লম্বায় ৩৯ মিটার, চওড়ায় ১০ মিটার। আর গভীরতা ৩৮ মিটার। তবে সেখানে জল রাখা হবে না। বদলে মেট্রোর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা বোরিং মেশিন (টিবিএম)-কে তোলা হবে ওই চৌবাচ্চা দিয়ে। আর সেই সময়সাপেক্ষ কাজটি করতে সুদূর অস্ট্রিয়া থেকে এল যন্ত্র। আটকে থাকা টিবিএম চণ্ডির পাশাপাশি টিবিএম ঊর্বিকেও তুলবে এই যন্ত্রটি। এই দুই টিবিএম তোলার কাজ চলতি মাসেই শুরু করা হবে বলে কেএমআরসিএলের তরফে জানানো হয়েছে। আর তাই ওই বিশালাকার স্যাফট বা চৌবাচ্চা তৈরি করা হচ্ছে।
বিশেষ এই গর্ত খুঁড়তে সুদূর অষ্ট্রিয়া থেকে এসেছে মেশিন। তবে প্রায় একশো কোটি টাকার এই মেশিন তুললেও তা দিয়ে আর কাজ করা যাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মেশিন তোলার সময় মাটিতে যেন ফের ধস না নামে তার জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। বৌবাজারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল গত জুলাইয়ে। ওই এলাকা থেকে কয়েকশো বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ওই অঞ্চলের মাটিকে স্থায়িত্ব দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ধস সম্পূর্ণ ঠেকানোর পরে কাজ শুরু করা হলেও একাধিক জীর্ণ বাড়ির গা ঘেঁষে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করতে গিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। দুর্ঘটনার সময় থেকেই সেখানে আটকে থাকে চন্ডি।
পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হলে শিয়ালদহ থেকে টিবিএম ‘উর্বি’কে তুলে ফের বউবাজার অভিমুখে বসিয়ে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করা হবে। সব শেষে দু’টি টিবিএম ফের বউবাজার থেকেই মাটি খুঁড়ে উপরে তুলে আনা হবে। ওইটুকু অংশের সুড়ঙ্গ উপর থেকেই মাটি কেটে কংক্রিটের সাহায্যে তৈরি করা হবে। অন্তত তেমনটাই কেএমআরসিএল সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.