স্টাফ রিপোর্টার: এক প্রৌঢ়া যৌনকর্মীকে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ও মাথা থেঁতলে খুনে করে সোনাগাছি থেকে পালিয়ে গেল দুই কিশোরী৷ যৌন পেশায় যুক্ত না হতে চাওয়া ওই কিশোরীদের ঘরে আটকে রেখে পাহারা দিচ্ছিলেন নিহত প্রৌঢ়া৷ ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা দুই কিশোরী পালানোর সময় বাধা দেওয়ায় প্রৌঢ়াকে খুন হতে হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান৷ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরীর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে বড়তলা থানার পুলিশ৷ তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ফেরার দুই কিশোরীকে পাওয়া গেলেই সমস্ত রহস্যের সমাধান হবে৷ যদিও সোনাগাছির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয়েছিল কবিতা রাইয়ের কাছে৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুর্বারের কেয়ারটেকার ছিলেন তিনি৷
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ সোনাগাছির নীলমণি মিত্র লেনের একটি ঘর থেকে পাওয়া যায় বছর পঞ্চাশের কবিতা রাই নামে ওই মহিলার মৃতদেহ৷ ঘরের বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল তাঁর দেহ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে কবিতা রাইয়ের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল৷ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই কিশোরীকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল৷ তাদেরকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছিল কবিতাদেবীর কাছে৷
এদিন দুই কিশোরীর পালিয়ে যাওয়া ও কবিতা রাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে৷ পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, দুই কিশোরীই পালিয়ে যাওয়ার জন্য কবিতা রাইকে খুন করেছে কি না৷ দুই কিশোরী গোপন আস্তানায় আছে এটা জানতে পেরে অন্য কেউ তাদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ কালীপুজোর ঠিক পরপর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোনাগাছিতে৷ খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই যৌনকর্মীদের মধ্যে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়িয়েছে৷ গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ কী কারণে এই খুন, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ খোঁজ চলছে ওই দুই কিশোরীর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.